বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পর পর দু’দিন একাধিক ভূমিকম্পে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি মৃদু কেঁপে উঠেছিল ঢাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় বিপদ নেমে আসতে পারে কলকাতা, রাঁচি, ঢাকায়। সোম-মঙ্গল, এই দু’দিন একাধিকবার কেঁপে উঠেছে উত্তরবঙ্গ, একই সাথে ঢাকাও। মঙ্গলবার (০৬এপ্রিল) সকাল ৭টা ৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের খুব কাছে ভারতের জলপাইগুড়ি এলাকায় এ ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল। কেন্দ্রস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৯। যা প্রায় হুবহু অনুভূত হয়েছে ঢাকায়।
রাজধানী ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঢাকায়ও এই ভূমিকম্পের প্রভাব ছিল। দেশের এত কাছের এই ভূকম্পনটির মাত্রা আরেকটু বেশি হলেই আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। এই ভূকম্পনটি গতরাতের ভূমিকম্পের একটি প্রভাব বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ ড. সুজীব কর জানান, বড়সড় সংকটে পড়তে পারে কলকাতা, রাঁচি এবং ঢাকা। বিগত কয়েক দিনে মধ্য আটলান্টিকের শৈল শিরাতে (Mid Atlantic Ridge) একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। ফলে ধাক্কা পেয়েছে ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান প্লেট। এদিকে কলকাতার মাটির নীচে সুক্ষ ফল্টলাইন চলে গিয়েছে। নাম ইয়োশিমহিঞ্জ লাইন। আপাতত এই লাইন পলি দিয়ে ঢাকা। লাইনটি নদিয়া থেকে ডান দিকে বেঁকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
বাংলাদেশ থেকে এই লাইনটি শিলং মালভূমির কাছে এসে মিশেছে। আর এর ঠিক নীচেই অবস্থিত ডাইকি ফল্ট লাইন এসে মিশেছে ইয়োশিমহিঞ্জের সঙ্গে। অর্থাৎ উত্তরপূর্ব ভারতে কোনও ভূমিকম্প হলে তার সরাসরি প্রভাব এই ডাউকি ফল্ট লাইন হয়ে পড়বে কলকাতা এমনকি ঢাকাতেও।’ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে এই সংযোগ আগামী দিনে কলকাতাসহ ঢাকার জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন সুজীব কর।
প্রসঙ্গত, ১৭৩৭ সালে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের জেরে সুনামি হয়। এরপ্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গের মালদার উপরেও। সেই সময় মৃত্য়ু হয় বহু মানুষের। ভূতত্ববিদদের একাংশের কথায় ইয়োশিমহিঞ্জ লাইন যদি কোনওভাবে ঢিলে হয় সেক্ষেত্রে বড় সংকট নেমে আসতে পারে শহর কলকাতাসহ ঢাকার বুকেও।