বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: রমজান মাস সামনে রেখে সব ধরনের ভোজ্যতেলের ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা আরও চার মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা নিয়ে সয়াবিন ও পামওয়েল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রমজান মাসে অতিরিক্ত ৪ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা তৈরি হয়। অতিরিক্ত এই চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়িয়ে থাকেন। ভোজ্যতেলের মজুত বাড়িয়ে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হয়। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আমদানিতে ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা চার মাস পর্যন্ত বাড়ানো হলো। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা আলাদা আদেশে এ বিষয়ে এসআরও জারি করা হয়েছে। সেই এসআরও মঙ্গলবার প্রকাশ করে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যের অস্থিরতার মধ্যে দেশের বাজারে দাম সহনীয় রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়। সয়াবিন ও পামতেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর মাত্র দুইদিন পরেই ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ সেসময় অপরিশোধিত সয়াবিন ও পরিশোধিত-অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানিতে শুধু ৫ শতাংশ বহাল রেখে সমুদয় অন্যান্য ভ্যাট প্রত্যাহার করে এনবিআর। এ নির্দেশের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। পরে গেল ৩ জুলাই সে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে এনবিআর। এরপর সেই সুবিধার মেয়াদ আবার তিন মাস বাড়িয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
জানা গেছে, রমজান মাস সামনে রেখে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের ভোজ্যতেলে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছে গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এতে ভোজ্যতেলে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ৬ মাস বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশনের মতামত পাওয়ার ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করেন ব্যবসায়ীরা।