বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম : ঘনিয়ে আসছে সিটি নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সব প্রার্থী। এক সময় মাইক্রোফোন মুখে প্রচারণা চলত। কিন্তু যুগের সাথে তা ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রচারণা এখন কণ্ঠশিল্পী থেকে ধারা ভাষ্যকারের কণ্ঠে রেকর্ডিংয়ে সীমাবদ্ধ। জনপ্রিয় শিল্পী, ছায়াছবির গানের সুরে প্রার্থীদের নিয়ে গান তৈরি হয়েছে। সেই গানের সুরে সুরে প্রার্থীদের প্রতীকের পক্ষে চাওয়া হচ্ছে ভোট। চলছে গানে গানে প্রচারণা, বাজছে গানের রেকর্ডিং। এমন আধুনিক পদ্ধতিতে প্রচারণায় খরচও কমেছে প্রার্থীদের। অন্যদিকে চাহিদা বেড়েছে ব্যান্ডের স্পিকারের।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ব্যাটারির ব্যবসা শুরু করেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। পাশাপশি মাইক ব্যবসাও। তিনি বিজনেসটুডে২৪কে জানান, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য মাইকের চাহিদা সবসময়ই। সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিলেও লাগে। হারানো সংবাদ- মৃত্যু সংবাদ প্রচার করতে মাইকের ব্যবহার অপরিহার্য। নির্বাচনে দৈনিক ৫শ’ টাকায় ভাড়া দিয়েছি। আমার চল্লিশটি মাইক আছে।
মোহাম্মদ রায়হান জানান, আগে মাইক্রোফোন দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে টাকা কামিয়েছি। কষ্ট হলেও আনন্দ ছিলো। এখন নেই। কণ্ঠশিল্পী আর ধারাভাষ্যকারদের জন্য প্রচারণার আমেজ বিলিন হয়ে গিয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা- রিকশাতে মাইক আর চালকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। মোবাইলে জ্যাক লাগিয়ে সারা শহরে প্রচারণা চলছে।
শাহআমানত সাউন্ড সিস্টেমের আনোয়ার হোসেন জানান, এমনিতে স্বল্প পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচারণা চালাতে সাউন্ডসিস্টেম ১ ফেয়ার ভাড়ায় চলছে। আগে এমনটা ছিলো না। ডিজিটালের যুগে এখন মাইকের পাশাপাশি স্পিকারের চাহিদা বেড়েছে। তবুও মাইকের সাথে পাল্লা দেয়া যায় না। কেননা আমাদের স্পিকার চালাতে জেনারেটরসহ অনেক সরঞ্জামের দরকার হয়।
প্রার্থীর কর্মীরা জানান, জাতীয় নির্বাচনে মডেল ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেতারা প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। উপ নির্বাচনেও অনেক শিল্পী গানে গানে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। সেই থেকে চট্টগ্রামে তেমন কিছু হয়নি। ভয়েস রেকর্ডিংয়ে প্রচারণা চলছে। তাছাড়া প্রচারণায় হামলার ভয়ে মাইক্রোফোন দিয়ে অনেকে প্রচারণা চালাতে চায় না। তবুও কমবেশি প্রচারণা চলছে।