Home অন্যান্য এক মুসলিম নারীর হাত ধরে গড়ে উঠেছিল বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়

এক মুসলিম নারীর হাত ধরে গড়ে উঠেছিল বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

এই পৃথিবীর বুকে কোনটি প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে ঐতিহাসিক মহলে। নানা মুনির নানা মতের মতো এই কৃতিত্বের দাবিদারের সংখ্যা কম নয়। চিন দেশের লোকেদের দাবি অনুযায়ী, সাংহাই হায়ার স্কুলই না কি পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। আবার পাকিস্তানের দাবি, অধুনা পাকিস্থানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত ‘তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়’-ই পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ভারতীয়দের মতে, বিহারের রাজগিরে অবস্থিত ‘নালন্দা’-ই বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। (Oldest University)

‘বিশ্ববিদ্যালয়’— এই শব্দটা এসেছে লাতিন শব্দ থেকে। গোটা কথাটা হল Universitas Magistrorum et Scholarium। যার বাংলা মানে দাঁড়ায় শিক্ষক ও পন্ডিতদের সম্প্রদায়। বিশ্ববিদ্যালয় কখনও কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশ বা জাতির জন্য নয়। সারা পৃথিবীর সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্যই খোলা থাকে তার দরজা।

বহিঃশত্রুর আক্রমণই কি কাল হল নালন্দার?

এ কথা ঠিক যে, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্র এই নালন্দা মহাবিহার। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দী থেকে আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এক প্রাচীন সিলমোহর থেকে জানা যায় যে, এই মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শক্রাদিত্য নামে এক রাজা। কে এই শক্রাদিত্য? ঐতিহাসিকেরা বলেন ইনিই গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত। তাঁর রাজত্বকালে ৪২৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই মহাবিহারের কাজ হয়। তবে গোড়ার দিকে পড়াশোনা নয়, বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের কাজেই মূলত আত্মনিয়োগ করেছিল নালন্দা। সঙ্গে পেয়েছিল গুপ্ত যুগের উদার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। কিন্তু প্রথম কুমারগুপ্তের রাজত্বকালের সাথে সাথেই নালন্দার উদয়সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে। প্রথমবার স্কন্দগুপ্তের সময়ে মিহিরকুলের নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ার যুদ্ধবাজ হুণরা নালন্দা আক্রমণ করে। তারা বৌদ্ধ ছাত্র ও ধর্মগুরুদের হত্যা করে। ৪৫৫ থেকে ৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই মহাবিহার। পরে দ্বিতীয় দফায় ৬৬৮ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ আবার নতুন করে খুলে যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। (Oldest University)

Image - পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল এক মুসলিম নারীর হাত ধরে
স্বর্ণমুদ্রার বুকে গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত

নালন্দার প্রতি বাংলার পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল দেখার মতো। পাল রাজাদের সময়েই শিক্ষাবিস্তার তথা ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়ে নালন্দা। বৌদ্ধ পুথি-পত্রের পাশাপাশি বেদ, ন্যায়শাস্ত্র, সংস্কৃত ব্যাকরণ, ভেষজবিদ্যা ও সাংখ্য দর্শনের মতো বিষয় সেসময় পড়ানো হত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসতেন ছাত্ররা। কিন্তু সে সুদিনও স্থায়ী হয়নি। আনুমানিক ১১৯৩ সাল নাগাদ নাগাদ বখতিয়ার খিলজির আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায় এই মহাবিহার।

একবার নয়, তিন তিনবার বহিঃশত্রুর আক্রমণের মুখে পড়ে নালন্দা। বারবার ধ্বংস করে দেওয়া হয় তার গরিমা, তার ঐতিহ্য। টানা ৮২১ বছর বন্ধ থাকার পর সেই নালন্দার দরজা ফের খোলে ২০১৪ সালে। এই টানাপোড়েনের ইতিহাসের কারণেই হয়তো UNESCO এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেয়নি।

মুসলিমদের হাতে গড়া প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

এই ভাঙাগড়ার প্রেক্ষিতেই মুসলিমরা দাবি করে পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি তাদেরই প্রাপ্য। আন্তজার্তিকভাবে গ্রহণযোগ্য দলিল-দস্তাবেজও এই দাবির পক্ষে সায় দেয়। গিনেসবুকের রেকর্ড অনুসারে মরক্কোর ফেজ নগরীর ‘কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়’ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। UNESCO এর ঘোষণা মতেও এ বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় (A History of the University in Europe. Vol.1.)। মরক্কোর ফেজ নগরীর এই প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে। শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত স্বমহিমায় বিরাজ করছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। (Oldest University)

Image - পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল এক মুসলিম নারীর হাত ধরে
আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়

৮৫৯ সাল নাগাদ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ফাতিমা আল-ফিহরিয়া। শুরুতে নিছক একটি মসজিদ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেও, পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানটি মুসলিম ইতিহাসের আধ্যাত্মিক এবং শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়। ১৯৬৩ সালে মরক্কোর সরকার আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় পদ্ধতির অংশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে। (Oldest University)

যাঁর হাত ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় সেই ফাতিমা আল-ফিহরিয়ার পুরো নাম-ফাতেমা বিনতে মোহাম্মদ আল ফিহরিয়া আল কুরায়শিয়া। জন্মেছিলেন ৮০০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশে বর্তমান তিউনিশিয়ার কায়রোয়ান শহরে। আরবের অভিজাত কুরায়েশ বংশের মেয়ে তিনি। বংশ অভিজাত হলেও ফাতেমার বাবা মোহাম্মদ ছিলেন বেশ গরিব। টাকা ড়োজগারের ফিকিরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কায়রোওয়ান থেকে মরক্কোর ফেজে চলে আসেন তিনি। নতুন শহরে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। সফল ব্যবসায়ীরূপে প্রতিষ্ঠা পান এবং বিপুল সম্পদের মালিক হন মোহাম্মদ। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনারও ব্যবস্থা করেন তিনি। ফাতেমার বিবাহ দেন ফেজের স্থানীয় এক পরিবারে। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই বাবা, স্বামী ও ভাইদের হারান ফাতেমা। বাবার রেখে যাওয়া বিপুল সম্পদের মালিক হন তিনি ও তাঁর বোন মরিয়ম।

একা মেয়ের চেষ্টায় গড়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয়

উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া বিপুল সম্পত্তি নিইয়ে ফাতেমা আর তাঁর বোন মরিয়য় এমন কিছু করতে চাইছিলেন যা সাধারণ মানুষের কাজেও লাগবে, আবার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্যও দেখানো হবে। ওই সময় ফেজে বিপুল জনসমাগম হচ্ছিল। শহরের পুরোনো মসজিদগুলোর আঙিনায় অত লোককে থাকার জায়গা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছোট বোন মরিয়ম তাঁর ভাগের টাকা দিয়ে গড়ে তুললেন নতুন এক মসজিদ। নাম দেওয়া হয় আন্দালুস। দুই বোনের মধ্যে ফাতেমা ছিলেন তুলনামূলকভাবে বেশি ধার্মিক এবং জ্ঞানী। তিনি ঠিক করলেন তাঁর এই বিপুল ধন-সম্পদ দিয়ে তিনি এমন এক মসজিদ বানাবেন যেখানে উপাসনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষজন পড়াশোনারও সুযোগ পাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। মসজিদের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের বর্ধিত অংশে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন ফাতেমা। এই মসজিদ-মাদ্রাসার নাম তাঁদের জন্মস্থানের নামানুসারে কারাউয়িন রাখেন। এই মাদ্রাসায় প্রাথমিক ইসলাম শিক্ষার পাশাপাশি গণিত, জোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল, চিকিৎসাশাস্ত্র, ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর পাঠ ও খেতাব দেওয়াও শুরু হয়।ধীরে ধীরে মরক্কো সহ গোটা আফ্রিকা মহাদেশের ইসলামি শিক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে পড়াশোনার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। (Oldest University)

Image - পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল এক মুসলিম নারীর হাত ধরে
প্রাচীন ফেজ শহর

লোকের মুখে মুখে ছড়াতে থাকে আল-কারউইন মাদ্রাসার নাম। ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্ররা ফেজ শহর আসা শুরু করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এই মসজিদে প্রচুর মানুষ একসাথে পড়াশুনা করতে পারত। লোক বাড়ার সাথে সাথে ক্রমেই জমজমাট হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। চারপাশ ঘিরে বাজার, স্কুল, থাকার জায়গা, হামাম প্রভৃতি বিভিন্ন কিছু গড়ে উঠতে শুরু করে। (Oldest University)

এই মসজিদটি পুরোপুরি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ২৭৮ বছর। ইতালির বোলোনা (Bologna)-য় যখন প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, তারও আগে কারাওইন হয়ে উঠেছিল শিক্ষা-দীক্ষার এক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান। অচিরেই এর ছাত্রসংখ্যা দাঁড়ায় আট হাজারে। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে ইতিহাস-ভূগোলসহ অনেক বিষয়েই উচ্চশিক্ষার জন্য আসতেন। ফেজকে তখন বলা হত ‘পাশ্চাত্যের বাগদাদ’—‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’। এই মসজিদের উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়েছিল ১১৩৫ সালে সুলতান আলী ইবনে ইউসুফের সময়। তিনি মসজিদের কাঠামো বাড়িয়ে ৩,০০০ বর্গমিটার করে তোলেন। বারান্দার সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এভাবে পালাক্রমে অনেক ধরনের সংস্থাপন আর পুনঃসংস্থাপনের মধ্যে দিয়ে গেছে এই সুপ্রাচীন শিক্ষাক্ষেত্র। (Oldest University)

পঞ্চদশ শতকে রেনেসাঁ যুগে ইউরোপের মহাজাগরণের সময় থেকেই মুসলমানদের সোনালি যুগের অবসান ঘটে। মধ্য-অষ্টাদশ শতাব্দীতে ধীরে ধীরে কারাওইন ছেড়ে চলে যান বহু জ্ঞানী-গুণী পণ্ডিত আর বিজ্ঞানীরা। ভেঙে পড়ে বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা। শুধু ধর্মীয় শিক্ষার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে কারাওইন। ১৯১২-৫৬, এই সময়কালে মরক্কো ছিল ফ্রান্সের প্রটেক্টরেট। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায় বটে, কিন্তু কখনও বন্ধ হয়ে যায়নি। বলা হয় ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইউরোপের ষড়যন্ত্রের বলি হয় এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সে সময় সেখানে পরীক্ষা ও ডিগ্রি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছাত্রদের থাকতে বাধ্য করা হয় আলোহীন-বায়ুহীন, জানালাহীন অন্ধকূপ কক্ষে।

Image - পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল এক মুসলিম নারীর হাত ধরে
আল-কারউইন মাদ্রাসা -প্রাচীন ছবি

১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীন হয়। জাতিকে বিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বাদশাহ মুহাম্মদ কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার চালু করেন গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, বিদেশি ভাষাবিষয়ক পাঠক্রম। প্রথম দিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মালেকি মাজহাব অনুসারে ইসলাম ধর্মচর্চা করা হতো। ধীরে ধীরে এই প্রতিষ্ঠানকে রূপ দেওয়া হয় একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫৭ সালে বাদশাহ পঞ্চম মুহাম্মদ সেখানে চালু করেন গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র ও বিদেশি ভাষা শিক্ষার কোর্স। ১৯৫৭ সালে কারাওইনে চালু করা হয়য় শিক্ষাদীক্ষার মহিলা শাখাও। কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় এখন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম এক ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষাকেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যযুগের মুসলমান ও ইউরোপীয়দের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছে। অনেক অমুসলিমও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অমুসলিম অ্যালামনি ছিলেন ইহুদি দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ মুসা বিন মাইমুন বা মাইমোনাইডস (১১৩৫-১২০৪)। তিনি শিক্ষা লাভ করেন আবদুল আরব ইবনে মোয়াশাহার তত্ত্বাবধানে। কার্টিওগ্রাফার মুহাম্মদ ইদ্রিসির (মৃত্যু : ১১৬৬) মানচিত্র ইউরোপ অভিযানে ব্যবহার হয়েছিল রেনেসাঁর যুগে। ফেজে এ মানচিত্র দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছে অসংখ্য জ্ঞানীগুণী, যাঁরা মুসলিম বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষার ইতিহাসে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইবনে রুশায়েদ আল সাবতি (মৃত্যু : ১৩২১), মুহাম্মদ ইবনে আলহাজ আলআবদারি আলফাসি (মৃত্যু : ১৩৩৬), শীর্ষস্থানীয় তাত্ত্বিক মালিকি এবং সুপরিচিত পরিব্রাজক ও লেখক লিও আফ্রিকানাস।