মো. শাকিল মিয়া,গাইবান্ধা থেকে: কৃষি নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলায় নানা ধরনের ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা প্রতি বছরেই মরিচের চাষাবাদ করে থাকে। এবছর গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি,সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের পলি ও বেলে-দোআঁশ মাটির উর্বর জমিতে অধিকহারে মরিচের আবাদ হয়েছে। এবছর ফলনও বেশ ভালো। দামও বেশ ভাল পাওয়ায় খুশি চাষিরা। গত বছর বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নব উদ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচ চাষিরা।
সরোজমিনে বিভিন্ন মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে টকটকে লাল কাঁচা মরিচ। অনেক গাছে দেখা যাচ্ছে ঝুপড়ি মরিচ ধরায় গাছ হেলে পড়েছে। এমন দৃশ্য দেখে মরিচ চাষিদের মন ভরে উঠেছে।
দুপুরে মরিচ তুলে বিকালে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। অনেকেই আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে অথবা জমির আইলেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের কুপতলা গ্রামের মরিচ চাষি মোঃ আব্দুর জব্বার (৫২) বলেন, আমার ১০ কাঠা জমিতে দেশি মরিচের চাষ করেছি। এতে আমার ব্যায় হয়েছে ৩ হাজার টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। আর গাছে অনেক মরিচ আছে ১-২ হাজার টাকার মরিচ আরো বিক্রি করা যাবে। এখন দেশি মরিচ আমরা পাইকারি হিসাবে মণ প্রতি ১০৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
কৃষকরা যেন মরিচ আবাদে আর্থিক ক্ষতির শিকার না হয় এবং সেই সঙ্গে ক্ষেতে রোগ বালাই দমনে মরিচ চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
এবিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা মো. শহিদার রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১,৯৬৭ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হবেন এদিকে নিয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ব্লকে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন, তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েই যাচ্ছেন।