বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
চারিদিকে বালি আর বালি। সবুজ গাছের লেশ মাত্র নেই। তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করে। এমনই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া। সেই রুক্ষ-শুষ্ক মরুভূমিতে বৃষ্টি আনতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে আরব আমিরাত আবহাওয়া দফতর। তারা তৈরি করেছে বিশেষ প্রযুক্তির বিমান যেই বিমান আকাশে উড় হিয়ে বিশেষ ধরনের লবন বর্ষণ করবে। আর সেই লবন সাদা মেঘকে জলে ভরিয়ে দেবে। তার থেকেই বৃষ্টিতে ভিজবে রুক্ষ শুষ্ক মরুভূমি।
বৃষ্টি আনতে বিশেষ বিমান
বৃষ্টি আনতে বিশেষ বিমান তৈরি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মঙ্গলবার সেটি প্রথম উড়ল আরবের আকাশে সমুদ্র থেকে ৯০০০ ফুট উঁচুতে উড়ে সাদা মেঘকে জলে ভরে দেবে এই বিশেষ বিমান। রুক্ষ শুষ্ক মরুভূমিকে এই বিশেষ বিমান বর্ষার মেঘ তৈরি করবে। যার থেকে বহু প্রতিক্ষিত বৃষ্টিতে ভিজবে মরুভূমি। আনবে বর্ষার পরশ। মিটবে গরমের জ্বালা।
কীভাবে বৃষ্টি আনবে বিমান
অনেকেই শুনে চমকে যাবেন কী এমন বিমান যা বৃষ্টি িনয়ে আসবে। অসম্ভব কল্পনা বলে অনেকেই হয়তো উড়িয়ে দেবেন গোটা বিষয়টি। ৯০০০ ফুট উঁচুতে উড়বে এই বিমান। ততে রয়েছে বিশেষ ধরনের লবন ভর্তি ট্যাঙ্কার। যা বর্ষণ করা হবে সাদা মেঘের উপর। ততেই জলে ভরবে মেঘ। আর বৃষ্টি হয়ে ভেজাবে মরুভূমি। উষ্ণতার তীব্রতা থেকে মুক্তি পাবে আরব। ৫০ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন আরবের মানুষ। বর্ষণের জেরে রুক্ষ মরুভূমি হয়ে উঠতে পারে সবুজ।
পর্যটনে গতি আনতেই উদ্যোগ
পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে আরবে। পর্যটন এখন অন্যতম বাণিজ্য বয়ে উঠেছে আরবের। পর্যটকদের সংখ্যা যত বাড়ছে তত ব্যবহার যোগ্য জলের চাহিদা বাড়ছে। সেই জলের চাহিদা মেটাতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে চাইছে আরব সরকার। সেকারণে বৃষ্টির জন্য এতো আয়োজন। বৃষ্টি তৈরি করতেই বিশেষ বিমানের মাধ্যমে মেঘে তৈরি এই উদ্যোগ। আবহাওয়া বিদরা জানিয়েছেন এই পদ্ধতিতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃষ্টি বাড়বে আরবে।
কী বলছেন পাইলট
এই বিমান ওড়ােনার জন্য বিশেষ দক্ষ পাইলটের প্রয়োজন হয়। তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে পাইলট তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা এই বিমানটি ওড়াবেন। পাইলটদের কাছেও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি। তাঁরা জানিয়েছেন এটা ওড়ানো সবচেয়ে কঠিন। এবং এর থেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ আর নেই। পাইলটদের মতে সবচেয়ে কঠিন নিরাপদে মেঘের মধ্যে লবন বর্ষণ করানো।