বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: মহাকাশে গবেষণায় ব্যবহারে বাংলাদেশ থেকে চলতি মাসেই জাপান হয়ে স্পেস কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে ধনিয়া বীজ। যা ইতিহাসে এই প্রথম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানের একটি দীর্ঘ গবেষণার অংশ হয়ে উঠলো বাংলাদেশ। দেশের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে যা সুদূরপ্রসারী ফল এনে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এমআইটির কানেকশন সায়েন্সের প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল চৌধুরী মহাকাশে ধনিয়ার বজি যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মাধ্যমে ধনিয়া বীজগুলো সংগ্রহ করে মহাকাশে গবেষণার জন্যে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসে আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের রকেটে চড়ে স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে এই বীজ। পরে ২০২১ সালের জুন মাসে এই ধনিয়া বীজগুলোকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তারপর জুলাই মাসে বাংলাদেশের বীজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। এর পর বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক,গবেষক, বিজ্ঞানীরা এই ধনিয়া বীজের ওপর পরবর্তী পরীক্ষা করবেন। পরে পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে জানাবেন তারা। তবে সঠিক দিনক্ষণ বা সময় এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। কেননা অন্যান্য সময়সূচির ওপর এই বিষয়টি নির্ভর করছে।
দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, বীজের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন নভোচারীরা। বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধনিয়া বীজ যাচ্ছে মহাকাশে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করা বীজও থাকছে এই তালিকায়।
মিজানুল চৌধুরী বলেন, খবরটি আমি পাই গত বুধবার রাত দুইটার সময়। আমি তখন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান-নাসা এবং জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি-জেক্সার সাথে একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলাম। এটি বাংলাদেশের জন্যে খুব বড় একটি খবর।