ঢাকা: মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করেছে জাপান। কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করবে না তারা।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিকো উনো কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে দেশটির সরকারি উন্নয়ন সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রকল্প বাতিল করা হবে বলে জানানো হয় এতে। এর একটি হচ্ছে মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট (দ্বিতীয় পর্যায়) বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গত বছরের জুনে জি-৭ সামিটের কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জাপানের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় সরকার। দুটি কেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৪০০ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। প্রথম কেন্দ্রের কাজ চলছে। কিন্তু দ্বিতীয় কেন্দ্রটির কাজ শুরুর আগেই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল জাপান।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা থেকে সরে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই এলাকায় সৌর বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র করার পরিকল্পনা আছে। ওই এলাকায় একটি এলএনজি টার্মিনালও করা হচ্ছে।
এর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঠিকাদার হবে না বলে গত ফেব্রুয়ারিতে জানায় জাপানের প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশন। প্রথম পর্যায়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ঠিকাদার হচ্ছে জাপানি কনসোর্টিয়াম সুমিতোমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএইচআই করপোরেশন। জাপানের অন্যতম বড় ঠিকাদার সংস্থা সুমিতোমো ধাপে ধাপে কয়লানির্ভর প্রকল্প থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে।
পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের জুনে কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় ছিল না মাতারবাড়ী দ্বিতীয় পর্যায়ের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।