বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পীরগঞ্জ (রংপুর): আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষকরা সফলতা পাচ্ছেন। রংপুরের পীরগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে ব্যবহারে কৃষকরা নিরাপদ ফসল উৎপাদন করছেন।
এই পদ্ধতির ব্যবহারে গাছের কোনো রোগবালাই হচ্ছে না, আগাছা না উঠার কারণে গাছ নিরাপদ থাকছে। এছাড়াও গাছে ফলন বেশি ও গাছের জীবন দীর্ঘ হয়। ফলে এই অঞ্চলে মালচিং পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
জানা যায়, এই অঞ্চলের কৃষকরা জমির মাটিতে জৈব সার ও রাসায়নিক সার মিশ্রণ করে বেড তৈরি করে তার ওপর মালচিং পেপার বিছিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন। বিশেষ করে পীরগঞ্জে এই পদ্ধতিতে মরিচের চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষে খরচ কম হয়, জমিতে তেমন শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
আর উৎপাদিত সবজির বাজারদর ভাল থাকে বলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলায় ২৫৫০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০ হেক্টর জমিতে মসলা জাতীয় হাইব্রিড কয়েকটি জাতসহ কলা বাড়ি মরিচের চাষ করা হয়েছে। তবে এ অঞ্চলে কলা বাড়ি মরিচের চাষ অধিকাংশ জমিতে হয়ে থাকে।
উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে বেশ কিছু সবজি চাষির সাথে কথা হলে তারা বলছেন, মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। ফলে জমি থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। অতিরিক্ত পানি সেচ দিয়ে বাড়তি খরচ করতে হয় না। জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকায় শ্রমিকও লাগে কম।
এ চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা ফসল বিক্রি করে লাভ করতে পারেন, উপজেলার কৃষি অঞ্চলে মালচিং পদ্ধতিতে নতুন নতুন করে সবজির চাষে ঝুঁকছে কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎসাহিত করছি। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সবসময় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।