বিজনেসটু২ে৪ ডেস্ক
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের মা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান কারাগারে থাকা বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবুকে এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে বাবুল আক্তারের ছেলে-মেয়েকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন আমলে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
সন্তোষ কুমার চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলের সামনেই তার মাকে খুন করা হয়েছে। তাই আসামি বাবুল আক্তারের ছেলে (১২) ও মেয়েকে (৭) জিজ্ঞাসাবাদ করা খুবই জরুরি। আমরা গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রেখেছেন মর্মে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে।
হত্যাকাণ্ডের পরের বছর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার।
গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। একইদিন দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১২ মে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার।