স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ জানান, ঘটনাটি শুনেছি, খুবই দুঃখজনক। আইনি ভাবে মোকাবেলা করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত একজন ক্রিমিনাল। কয়েকটি মামলার আসামি সে।
মাসুদ লস্কর, হবিগঞ্জ থেকে: মুক্তিপণের জন্য চুনারুঘাটে একব্যক্তিকে অপহরণ করে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জন্য চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে দায়ী করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভিকটিম এরশাদ আলী ( ৪০)। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের শুক্কুর আলীর পুত্র। পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল।
ভিকটিম জানান, বুধবার (২৬ জানুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে আমু চা বাগানের গান ঘরের সামনের রাস্তা থেকে তাকে একটি সাদা মাইক্রোতে তুলে নেয় সুন্দরপুর গ্রামের এক মাদক কারবারি এবং আরও কয়েকজন।
এই মাদক কারবারি আরও অপহরণ এবং মাদক মামলার আসামি এবং এরশাদের পরিচিত বলে জানা গেছে।
গানঘরের সামনে থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা এরশাদকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যায়। এক বাড়িতে নিয়ে হাত পা বেধে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপণ দেয়ার কথা বলে। ভিকটিমের স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকার কথা জানায়। এরশাদের স্ত্রী বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে তারা ফোন নম্বর দেখে চিনতে পারেন অপহরণকারিকে। নানা ভাবে তারা চাপ প্রয়োগ করা হয় অপহৃতকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। এই পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার রাত ৩ টায় আমুরোড বাজারে এনে ছেড়ে দেয় এবং ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শাসায় এবং পুলিশকে জানানো হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।
ভিকটিমের শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ জানান, ঘটনাটি শুনেছি, খুবই দুঃখজনক। আইনি ভাবে মোকাবেলা করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত একজন ক্রিমিনাল। কয়েকটি মামলার আসামি সে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
ঘটনার ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার জানান যে তারা এ বিষয়ে অবহিত নন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।