বিজেনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর গত বছরের মে মাসে ছিল ৫ দশমকি ৩৫ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মূলস্ফীতির নিরূপণ করার দায়িত্ব থাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়র অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর (বিবিএস)। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার ৫ দশমিক ৪ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তাতে তিনি আগামী বছর গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে রাখার কথা জানান।
মূল্যস্ফীতি মানে কিন্তু মূল্য কমেছে এমন নয়। পণ্যের দাম ঠিকই বেড়েছে, তবে তার আগের বছরের চেয়ে দাম বাড়ার হার কিছুটা কম। মে মাসের মূল্যস্ফীতির সহজ অর্থ করলে দাঁড়ায়, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হতো, ২০২১ সালের এপ্রিলে সেই পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ২৬ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
গতকাল বিবিএসের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে চাল, সবজি, মাছ-মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। যদিও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি রয়েছে। তবে দুই খাত মিলিয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে।
বিবিএসের তথ্য বলছে, মে মাসে চাল, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্য কমেছে। এ জন্য এ উপ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছরের মে মাসে খাদ্য উপ-খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
তবে খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত বছরের মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জ্বালানি, আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের দাম বাড়তি ছিল।