বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের (মমেক) বিরুদ্ধে রাতভর শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শিক্ষার্থী তাদের নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগে জানা গেছে । এ ছাড়া ভাংচুর করা হয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক কক্ষ।
নির্যাতনের স্বীকার একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী না হওয়ায় বেয়াদবির বাহানা বানিয়ে মারধর করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় সভাপতি অনুপম সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং তাদের অনুসারীরা। তখন ছাত্রলীগের অন্য সদস্য এবং কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকও হয়। কিন্তু রাতে আবার আবাসিক কক্ষে গিয়ে রুম দখল করে অভিযুক্ত নেতারা। এ সময় ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
আহতরা হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ রুপক, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেহেদী হাসান রুকন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হাসান সৌরভ, কার্যকরী সদস্য রামিম সরফরাজ খান, কার্যকরী সদস্য রেজওয়ান চৌধুরী শাওন, মমেক শাখা বিডিএফ স্টুডেন্টস উইংয়ের মনোজ রায়, সহ-সম্পাদক অয়ন হালদার, সদস্য ফারুকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মমেক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আমার রুমে তাণ্ডব চালানো হয়। আমি ছাত্রলীগের কর্মী হয়েও তাদের কাছ থেকে রেহাই পাইনি। নতুন কমিটির পর থেকে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মমেক ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাইমিন আরাফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মোমিন বলেন, অনুপম-হাসানদের বিরুদ্ধে সংগঠনের নাম বিক্রি করে মেডিকেল হোস্টেলে অবৈধ রুম দখল, সন্ত্রাস, মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নগরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি করে থাকে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি অনুপম সাহাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফারুক হোসেন জানান, হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
বিএমএ ময়মনসিংহ জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট ডা. মতিউর রহমান ভুইয়া বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা চাই না এমন ঘটনা হোক।