বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: অটোরিক্সা, ট্যাক্সিক্যাব থাকলেও কম ভাড়ায় উন্নত সেবা ও জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ অ্যাপভিত্তিক দুই চাকার যান পছন্দ করতো। এ আয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল অনেকে। চলেছে অনেক পরিবার। কলেজে পড়ুয়া ছাত্ররা রাইড শেয়ারের মাধ্যমে আয় করে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছে। তবে রাইড শেয়ারের বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল সিএনজি অটোরিকশা চালকদের। সাধারণ মানুষ বলছে সিএনজি অটোরিকশার চালকদের কাছে ভাড়ার দিকে জিম্মি থাকতে হয়। সাথে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি।
করোনা শুরু থেকে বন্ধ হয়ে যায় রাইড শেয়ারের সকল অ্যাপস। লকডাউনে পুরো দেশ। চিন্তার ছাপ কপালে। জীবিকার চাকা বুঝি বন্ধ হলো। লকডাউনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পথে নামেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কথায় যেন কাবু হয়নি তারা।
বর্তমানে লকডাউন শিথিল করার পরও চিন্তার ছাপ যাচ্ছে না। অ্যাপস চালু হলেও মিলছে না যাত্রী। জিইসি মোড়ে একাধিক উবার রাইডার বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন , চলতি মাসে চট্টগ্রামে পুনরায় উবারের সেবা চালু হয়েছে। আগের মতো তেমন কোন যাত্রী পাওয়া যায় না । উবার রাইডার মো. বাবু বলেন, করোনা পরিস্থিতির পূর্বে আমি মাসে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা আয় করতাম। এখন আয় হয় মাত্র ৭-৮ হাজার টাকা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছে অনেকেই। তবে অধিকাংশ রাইডার লোকাল যাত্রী নেয়। যেখানে অ্যাপসে কোন নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া ১৯০ টাকা ধার্য ছিল, সেখানে লোকালে অ্যাপসের চার্জ দিতে হয় না। চলে দরকষাকষি।
অন্যদিকে অ্যাপস ব্যবহারকারীরা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাইডার বলেন, নামে মাত্র অ্যাপস ডাউনলোড করে রাখে অনেকে। লোকাল পরিবহনের মতো যাত্রীদের সাথে রাইডারদের দরকষাকষির মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরাও সহজে রাইড সুবিধা পাচ্ছে। অ্যাপসভিত্তিক সেবা এখন রূপ নিয়েছে দরকষাকষির সেবায়।
সরেজমিনে নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে উবারের অফিসে গেলে অফিসটি বন্ধ পাওয়া যায়। নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রেজিস্ট্রেশনকৃত রাইডাররা এবং গ্রাহকরা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য , করোনা ভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। উবার–পাঠাও ছাড়া আরও নয়টি কোম্পানির কমপক্ষে ১০০ যানবাহন চালানোর অনুমতি আছে।