বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশের জেরেই ভারতে হু হু করে বেড়েছে করোনা। সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে একথাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, করোনা আবহে নির্বাচন বন্ধ রাখা যেত না। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা কখনও সম্ভব নয়। তা ছাড়া রাজনৈতিক র্যালি থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর তত্ত্বকেও প্রকারান্তরে নস্যাৎ করেন তিনি।
যদিও হু-এর দাবি, চট করে অতিমারীর কোপ বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে একটি যথেচ্ছ রাজনৈতিক কর্মসূচি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘গত অক্টোবর মাসে ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭-এর খোঁজ মেলে। ইদানীং নানান কারণে সেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় কোভিডের একাধিক প্রজাতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ এরপর কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যোগ করা হয়, ‘গত কয়েক মাস ধরে ভারতে নানান ধর্মীয় ও সামাজিক সমাবেশ আয়োজিত হয়। তাতে সাধারণ মানুষের ঢল চোখে পড়ে। করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এটা অন্যতম কারণ।’
সংস্থা সূত্রে খবর, ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দিন দিন চিন্তা বাড়ছে। তাই ইতিমধ্যে দেশের ০.১% পজিটিভ স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল জিসাইড ওয়েবসাইটে আপলোডের কাজও চলছে। হু-এর প্রাথমিক অনুমান, শুধু বি.১.৬১৭ নয়, এর দু’টি উপ-প্রজাতিও সংক্রমণবৃদ্ধির জন্য দায়ী। গত এপ্রিল মাস থেকে হাতে আসা নমুনার মধ্যে এদের ২১% এবং ৭% উপস্থিতি মিলেছে। শুধু তাই নয়, যত দিন গড়াচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টের শ্রেণি দু’টি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে আগামীতে সংক্রমণের আঁচ ব্যাপক বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র।
সম্প্রতি হু-এর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত দফতরের আধিকারিক মারিয়া ভ্যান কারকেভ জানান, করোনার ভারতীয় প্রজাতি সারা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে, এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা, অনবরত মিউটেশনের স্বভাব এবং অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে লড়াই গবেষকদের চিন্তার ভাঁজ বাড়ায়। এই দুশ্চিন্তাকে আরেকটু উস্কেছে ইংল্যান্ডের দেওয়া তথ্য। তাদের মতে, গত কয়েকদিনে দেশে যতজন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পর বি.১.৬২৭-এর কোনও না কোনও শ্রেণির খোঁজ মিলেছে। যত দিন গড়াবে, এই প্রবণতা আরও বাড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করছে হু।