রাজস্থলী ( রাঙামাটি ) থেকে চাই মারমা: বান্দরবান সংলগ্ন রাজস্থলী উপজেলা এলাকায় উপজাতীয় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত এবং আরও ২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে এ সংবাদ পাওয়া গেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম ও রাজস্থলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু সালেহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। সেখানে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত সব জানা যাবে।
বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী এই এলাকাতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ছাড়াও মগ লিবারেশন পার্টি (এএলপি) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের আধিপত্য রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জনসংহতি সমিতি ও মগ লিবারেশন পার্টির মধ্যে এই বন্দুক যুদ্ধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থলীর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কেচিং পাড়া নোয়া পাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ বান্দরবান থেকে রাঙামাটিতে প্রবেশের সময় কেচিং পাড়াস্থ নোয়াপাড়া গভীর অরণ্যে উচুঁ পাহাড় থেকে উপজাতীয়দের অপর একটি স্থানীয় আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষই কয়েকদফা গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়।
আরও জানা যায়, মগ লিবারেশন পার্টির সদস্যদের টহল লক্ষ্য করে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান নেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনা স্থলেই মগপার্টির তিন সদস্য নিহত ও দুই সদস্য আহত হয়। পরে উভয় পক্ষই বন্দুকযুদ্ধে মেতে উঠে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, নিহতদের একজন হলো জামছড়ির থাংক্রুই পাড়ার অং থোয়াই মার্মা (৪৫)। তার পিতার নাম থুই খয় মিঙ মার্মা। নিহত অং থোয়াই মার্মা এমএনপির গাইড ছিলো বলেও জানা গেছে।
এদিকে রাজস্থলীর ২নং গাইন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা জানান, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় এবং সেটি বান্দরবান সীমানায় পড়েছে। আমার ইউনিয়নে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি ।