বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন ।
তার আগে শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক পদস্থ অফিসার জানালেন, লাদাখে ভারত-চিন সেনা সমাবেশের দিকে সতর্ক নজর রাখছে আমেরিকা। তারা চায় না, সেখানে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাক। আমেরিকা গত কয়েক মাস ধরে ভারতের সঙ্গে গোয়েন্দাদের পাওয়া তথ্য বিনিময় করছে।
আমেরিকা জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের নৌ সেনার উপস্থিতিতে তারা খুশি হয়েছে। হিমালয়ে অথবা সমুদ্রে, চিন যেখানেই আগ্রাসী ভূমিকা নেবে, তাকে ঠেকাতে হবে। সেজন্য সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে আমেরিকা।
চিনের কঠোর সমালোচনা করে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, “হিমালয় থেকে দক্ষিণ চিন সমুদ্র পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলছে। ফলে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলা আমাদের পক্ষে আরও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।” পরে তিনি বলেন, “মালাবারে নৌ সেনার মহড়ায় ভারত অস্ট্রেলিয়াকে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করায় আমরা খুশি হয়েছি।”
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, আমরা ভারতকে নানাভাবে সাহায্য করছি। আমরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছি, যৌথ সেনা মহড়া দিচ্ছি, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করছি।
মার্কিন মুখপাত্র জানান, ২০১৬ সাল থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠেছে ভারত।
গত ১৫ জুন গালওয়ানে টহলরত ভারতীয় সেনার উপর আচমকা হামলা করে চিনা সেনা। এই হামলায় ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। পাল্টা মারে চিনের প্রায় ৩৫ জওয়ান নিহত হয় বলে খবর। অবশ্য চিনের তরফে এই সংখ্যা জানানো হয়নি। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপর থেকে সীমান্তে উত্তাপ ক্রমাগত বাড়ছে।