আজহার মুনিম শাফিন
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার): প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোঃ আবু জাফর রাজু’র আয়োজনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুলাউড়ায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই সমাবেশ।
মোঃ আবু জাফর রাজু’র নেতৃত্বে কুলাউড়া উছলাপাড়া থেকে শুরু হওয়া শান্তি সমাবেশের র্যালীটি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের মাঝে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে উন্নয়ন চলমান রয়েছে সেই উন্নয়ন জনগণ চায়। কোনো ধরনের হরতাল ও অবরোধ জনগণ চায় না। জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কুলাউড়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ খাতে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এসময় তিনি আরো বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কুলাউড়ায় নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবো এজন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম বদর। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মমদুদ হোসেন, হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স, শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদসহ উপজেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও চা-বাগানের নারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।