বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
প্রেসিডেন্টের অফিস ছাড়ছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে হোয়াইট হাউসে নিজের সহকারী স্টিভ ব্যান্ননকে ক্ষমা করলেন তিনি। কিন্তু নিজেকে বা নিজের পরিবারের কাউকে ট্রাম্প ক্ষমা করেননি।
অনেকেই বলেছিলেন, ক্যাপিটল হিলে হামলায় উস্কানি দিয়ে গুরুতর অপরাধ করেছেন ট্রাম্প। পদ ছাড়ার সময় তিনি নিজেকে বা পরিবারের কাউকে ওই অপরাধের জন্য ক্ষমা করেন কিনা তা দেখার আগ্রহ ছিল পর্যবেক্ষকদের।
হোয়াইট হাউসের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মী বলেছেন, ট্রাম্প যদি নিজেকে বা পরিবারের কাউকে ক্ষমা করতেন, তাহলে পরোক্ষে স্বীকার করে নিতেন যে, তাঁরা অপরাধ করেছেন। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাঁকে ক্ষমা করেছেন, সেই ব্যান্নন ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। গতবছর মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল দেওয়ার জন্য রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগ, ব্যান্নন সেই অর্থ তছরুপ করেছিলেন। তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রক্ষণশীল শিবিরে ব্যান্নন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাজনীতিক হিসাবে তিনি অত্যন্ত দক্ষ। হোয়াইট হাউসের কয়েকজন উচ্চপদস্থ অফিসার ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ব্যান্ননকে ক্ষমা করা ঠিক হবে না। কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের সুরে ব্যান্ননও অভিযোগ করেছিলেন, ভোটে জয়ী হননি বাইডেন। ট্রাম্পই ফের জয়ী হয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেজন্যই ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করেছেন।
ব্যান্নন বাদে যাঁদের ক্ষমা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা এলিয়ট ব্রয়ডি। তিনি বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ সংক্রান্ত আইন ভেঙেছিলেন। গত বছর তিনি অপরাধ স্বীকার করে নেন। ডেট্রয়েট শহরের প্রাক্তন মেয়র কোয়ামে কিলপ্যাট্রিক দুর্নীতির দায়ে জেলে আছেন। তাঁকেও ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প।
ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে অনেক দিন জনসমক্ষে আসেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি ভিডিও বার্তায় হোয়াইট হাউসকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, নিজের বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাইডেনের সাফল্য কামনা করেন তিনি। এই প্রথম বার বাইডেনের সম্পর্কে কোনও ভাল কথা বললেন ট্রাম্প।
বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বাগত জানাতে তৈরি আমেরিকা। ওয়াশিংটনে কড়া নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসকে ঘিরে রয়েছে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপস। শপথের অনুষ্ঠানে খুব বেশি সাধারণ মানুষকে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। কিছু দিন আগেই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হওয়া হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে প্রশাসন। তাই আগেই থেকেই সব বন্দোবস্ত করে রেখেছে তারা।