চট্টগ্রাম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সকাল ৬.০০ ঘটিকায় বন্দর ভবনসহ বন্দরের সকল দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জলযানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও বন্দর কর্তৃপক্ষ মাস ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি ও চবক এর সদস্যবৃন্দ বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বন্দর ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন। এতে চবক এর সকল বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং বন্দর কর্মচারী পরিষদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি’র নেতৃত্বে এক বিশাল শোক র্যালী বন্দর ভবন হতে কাস্টম মোড় হয়ে বন্দর উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী শেষে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ চবক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অবদান বিষয়ে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি। বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এম এ লতিফ, এমপি বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি, বাঙ্গালী জাতি পেয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ। তিনি বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি নারী জাতিকে সমান ভাবে সমান সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা অর্জনে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে, তিনি না হলে এ সমুদ্র সীমা অর্জিত হত না।
চেয়ারম্যান, চবক মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন- বঙ্গবন্ধু হলো হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, তিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে চলার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন জাতির পিতার রক্তে গড়া এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে একাত্ন হয়ে সবাইকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলার প্রচেষ্টা করতে হবে। চবক চেয়ারম্যান আরো বলেন, আজকের দিনটি জাতির জন্য কলঙ্কিত একটি দিন, এ দিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুননেসা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে যে সকল শহীদরা দেশের জন্য আত্নাহূতী দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে এগিয়ে নিয়েছেন তাদেরকে ও ১৯৭১ সালের শহীদ সকল বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। জাতির পিতার বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন-তোমরা দেশকে ভালবাস, তোমরা বাংলাদেশের মানুষকে ভালবাস।
বাদযোহর চেয়ারম্যান, চবক মহোদয়, সদস্যগণ ও বিভাগীয় প্রধানগণ ৮নং সড়কস্থ বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত শোক সভা, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এম এ লতিফ, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি, উপস্থিত ছিলেন।চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ এর সভাপতি মোঃ আজিম সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারন সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি