বাগেরহাট থেকে নাজমুল ইসলাম সবুজ জানান: জেলায় সোমবার নতুন করে ২২৫ জনের নমুনা পরিক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১৬ জন। একই দিনে বাগেরহাট ও খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরো ৫ জন।
জেলায় করোনা শনাক্তের গড় হার ৪৬.৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫১.৫৫ শতাংশে পৌঁছেছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে বাগেরহাট সদরে ৩ জন, মোরেলগঞ্জ একজন ও শরণখোলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারী হিসেবে এনিয়ে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে জেলা প্রশাসনের লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন চলছে ডিলেঢালা ভাবে। লোকজন রাস্তায় ভিড় করছে। মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন ও বাস ছাড়া সব ধরনের গনপরিবহন অবাধে চলাচল করায় করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছেবাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মিরাজুল করিম বলেন, বাগেরহাটে স্থানীয় ভাবে লকডাউন দিয়েও সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছেনা। বাগেরহাটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। দিনদিন যেভাবে রোগীর চাপ বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনার আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ৩৭ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে বাগেরহাটে ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাড়ীতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯১৬ জন।