বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
তালিবান বেজিংকে বন্ধু বলে স্বাগত জানালেও নিজের স্বার্থের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় তালিবানকে যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী শক্তির সঙ্গে সংশ্রব ছিন্ন করতে বলল চিন। পাছে আল কায়েদার মদতপুষ্ট উইঘুর মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলাামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) অবাধ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে আফগানিস্তান, এটাই চিনের ভয়। চিনের অশান্ত জিনজিয়াং প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মের পিছনে আছে ইটিআইএম।
গত সপ্তাহে তালিবান মুখপাত্র সুহেইল শাহিন হংকঙের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের কাছে দাবি করে, তারা আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ কব্জা করেছে, তবে তারা সেদেশে কর্মরত চিনা নাগরিকদের ও চিনা বিনিয়োগ রক্ষা করবে। শাহিন চিনকে নাকি এমন আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছে যে, জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের তারা আশ্রয় দেবে না। শাহিনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, আমরা অনেকবার চিনে গিয়েছি, ওদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল। যদি চিনারা বিনিয়োগ করে থাকে, অবশ্যই তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব আমরা।
দুসানবেতে সাংঘাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রাক্কালে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আলোচনা ফের শুরুর পক্ষে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যাতে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর লীলাভূমি না হয়ে ওঠে, সেজন্য সরব হন। বলেন, তালিবানকে সব সন্ত্রাসবাদী শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে আফগান রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরতে হবে।
নিজেদের ভূখন্ড রক্ষায় তালিবানের সঙ্গে সংঘর্ষ করে যাওয়া আফগান সরকারেরও প্রশংসা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। বলেন, প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির নেতৃত্বে সরকার জাতীয় সংহতি, সামাজিক স্থিতাবস্থা, জনসাধারণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছে, যার সঠিক মূ্ল্যায়ন হওয়া উচিত।
বুধবার এসসিওর বৈঠকে আফগান ইস্যুতে বিরাট গুরুত্ব পায়। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিজ প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। তিনি ট্যুইটও করেন, আফগানিস্তান, জনস্বাস্থ্য ও আর্থিক পুনরুত্থান জরুরি ইস্যু। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিপনার মোকাবিলা এসসিওর মূল উদ্দেশ্য। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।