বিজনেসটুডে ২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: শীত মওসুমে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমতি। তবে, পাইকারি আর খুচরা বাজারে দর আকাশ-পাতাল। পাইকারি বাজারে ফুলকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭ -১৫ টাকা। খুচরা বাজারে দর ২৫-৩০ টাকা।
গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে দর ছিল ১২-১৮ টাকা। তখনও খুচরা বাজারে দর ছিল ২৫-৩০ টাকা। পাইকারিতে দর কমে যাওয়া সত্ত্বেও খুচরা বাজারে আগের দর বহাল রয়েছে। পাইকারিতে ৬ টাকা টাকা কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাবই পড়েনি।
পাইকারীতে যে ফুলকপি ১০ টাকা, খুচরা বাজারে তা ২৫ টাকা। কেবল ফুলকপি নয়, শিম, বেগুন,বাঁধাকপি,টমেটো, মুলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
নগরীর প্রধান বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে ১শ’ সবজির আড়ৎ। আরও ৩০টি আড়ৎ কাঁচা মরিচের।
পাইকারিতে বাঁধাকপি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারিতে লাউ প্রতিপিস ১৫-২০ টাকা, খুচরায় ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। শিম মানভেদে প্রতিকেজি ১৭ টাকা থেকে ৩০ টাকা। খুচরায় ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে মূলা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, শালগম পাইকারিতে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা। এভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দরের বড় ব্যবধান প্রায় সব সবজির। পাইকারি বাজারে যে কাঁচামরিচ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, খুচরা বাজারে তা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা বাজারের বিরাট তারতম্য বিষয়ে খুচরা দোকানিদের কয়েকজন জানালেন,আড়ৎ থেকে সর্বনিম্ন কত দামে বিক্রি করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। তাছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে আনা সবজির বস্তায় নষ্ট থাকে প্রচুর। তাই পাইকারি এবং খুচরা দরে পার্থক্য কিছুটা বেশি।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে চট্টগ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি আসা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সীতাকুণ্ড,দোহাজারী,সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সবজি আসে। দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক সবজির ট্রাক আসে। মেহেরপুর, পাবনা,যশোর, রাজশাহী থেকেও আসে।
রেয়াজউদ্দিন আডতদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর হোসেন জানান, প্রতিদিনের চাহিদার অধিক সবজি আসে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় কম দামে বেচে দিতে হচ্ছে পাইকারি বাজারে। দৈনিক চাহিদা ১০০ ট্রাকের বেশি নয়, কিন্তু আসছে দেড় শ’ ট্রাক।
গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে কেজিতে চার/পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে প্রায় সব সবজির দাম।