বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির কার্যক্রম চলছে । এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জানুয়ারিতেই ৬ লাখ টন আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সরকার টু সরকার (জিটুজি) প্রক্রিয়ায় আরও দেড় লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। আমদানি করা চাল অবশ্যই সিদ্ধ হতে হবে। এগুলো সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা নন-বাসমতি হতে হবে। বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পাঁচ হাজার টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল দেশের বাজারজাত করতে হবে। ১০ থেকে ১৫ হাজার টন বরাদ্দপ্রাপ্তরা ঋণপত্র খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাজারজাত করতে হবে। ১ থেকে ৫ হাজার টনের আমদানিকারকদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল আনতে হবে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘যেসব চালকল আমাদের বোরো মৌসুমে চাল দিয়ে সহায়তা দিয়েছে এবং আমনের জন্য যারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আমরা শুধু তাদেরই অনুমোদন দিচ্ছি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, যারা আমাদের সহায়তা করবে আমরাও তাদের সুযোগ দেব। আর এসব চাল মজুদদারির কবলে পড়বে না বলেও আমরা আশা করি। কেননা চাল তিন মাসের বেশি স্টক করতে গেলে পোকায় ধরবে। আমদানি করা চাল নিয়ে কেউ এ ঝুঁকি নেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। এছাড়া আমাদের কারও না কারও ওপর তো বিশ্বাস রাখতেই হবে। আমরা একটি হিসাব করে দেখেছি বাজারে কী পরিমাণ চাল প্রয়োজন। সে অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। কিছু আবেদন এখনো হাতে আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সেগুলো বিবেচনায় নেব।’
গত ৬ জানুয়ারি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে দুই লাখ টন এবং সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, আমদানির কারণে বাজারে যাতে অতিরিক্ত সরবরাহ সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে। আমদানি শর্ত অনুযায়ী জানুয়ারিতেই বাজারে অন্তত ছয় লাখ টন চাল প্রবেশ করার আশা করা হচ্ছে।