বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
অসংখ্য গোল নেই তবে চোখ ধাঁধাঁনো ফুটবল। প্রথমার্ধ প্রায় গোটাটা ব্রাজিলের। দ্বিতীয়ার্ধের অনেকাংশে পেরুর ঝলক। তবে পাকুয়েতার করা একমাত্র গোলে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল।
গোটা প্রথমার্ধে কত বার ব্রাজিল বক্সে বল গিয়েছে তা বোধহয় হাতে গুণে বলে দেওয়া যায়। গোড়া থেকেই রিচার্লিসন, নেইমার, এভারটনদের মুহুর্মুহু আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে পেরু বক্সে। কখনও উইং দিয়ে মাপা সেন্টার তো কখনও মাঝ মাঠ থেকে ডিফেন্স চেরা থ্রু কিংবা দূরপাল্লার শট।
কিন্তু একটা সময়ে মনে হচ্ছিল পেরু গোল রক্ষক আলেকজান্দ্রো গ্যালেসের গ্লাভস বোধহয় চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে।কখনও ক্যাসেমিরোর চল্লিশ গজ দূর থেকে নেওয়া বুলেট রুখে দিলেন কখনও বক্সের ভিতরে নেইমারদের তীক্ষ্ণ ফ্লিক শরীর ছুড়ে সেভ।
পেরু গোলরক্ষক প্রথমার্ধের ৩০ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলের অন্তত চারটি অবধারিত গোল সেভ করে দেন। অবশেষে লকগেট ভাঙে ৩৫ মিনিটে। রিচার্লিসনের দুরন্ত থ্রু রিসিভ করে সোলো রানে বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। দুজন পেরু ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে সাজানো মাইনাস রাখেন। সেই বল বাঁ পায়ে আউট স্টেপ দিয়ে ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করেন পাকুয়েতা।
দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি ঠিকই তবে খেলা হয়েছে উপভোগ্য। প্রথমার্ধে পেরু যতটা খোলসে ঢুকে ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে বেশ কয়েকবার ফোঁস করল তারা। একাধিকবার পরিস্থিতি সামাল দিতে হল ব্রাজিল তেকাঠির প্রহরী এডারসনকে। তবে শেষ পর্যন্ত পেরুকে হারিয়ে কোপা ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা নামবে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত মেসিরা যদি সেমিফাইনাল জয় নিশ্চিত করেন তাহলে একুশের কোপা ফাইনাল হতে চলেছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা।