বিজিনেসটুডে প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং গাড়ি চলাচল ও অফিস আদালত যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া কাজ করছে। অনেক ভোটার বলছেন, নির্বাচনের দিন অফিস-আদালত খোলা থাকলে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়বে ভোট কেন্দ্রে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে। আবার অনেকে বলছেন, অফিস আদালত খোলা রাখাতে, নির্বাচনী সহিংসতা কম হবে।
৪১ নং ওয়ার্ডের ভোটার নাজমুল বলেন, নির্বাচনের দিন অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। অফিস খোলা রাখলে নির্বাচনে সহিংসতা কম হবে।
২১ নং ওয়ার্ডের ভোটার আল আমিন বলেন, আমি যেহেতু শহরের বাইরে চাকরি করি, আমার পক্ষে সাধারণ ছুটি ব্যতিত ভোট প্রদান করা সম্ভব না। কারণ, আমার কর্মস্থল নগরীরর বাইরে, আর থাকি নগরীতে। ভোট দিয়ে অফিসে যাওয়ার কোন সুযোগ আমার নেই।
৩৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার স্বরূপ বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী সহিংসতার আশংকা রয়েছে। অফিস আদালত খোলা থাকায় বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারে। চট্টগ্রামের বাইরের সন্ত্রাসীরা অফিসে যাওয়ার নাম করে শহরের চলে আসতে পারে এবং ভিন্নমতের ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা তৈরি করতে পারে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে না। ইভিএম হলো একটি বাড়তি সুযোগ। ইভিএম থাকলে যারা ভোট দিচ্ছেন তাদের জন্য যেমন সুবিধা তেমনি যারা নিচ্ছেন তাদের জন্যও সুবিধা। তাছাড়া ইভিএম এ ভোট হলে জালিয়াতি করার সুযোগ এবং বাক্স ছিনতাইয়ের সুযোগ থাকে না।
এর আগে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরের দিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৭ জানুয়ারি রাত ১২ টা পর্যন্ত যানবাহন ও ২৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।