Home First Lead সিমেন্টের দাম বৃদ্ধিতে নির্মাণ খাতে স্থবিরতা

সিমেন্টের দাম বৃদ্ধিতে নির্মাণ খাতে স্থবিরতা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: দাম বেড়েছে বাড়ি-ঘর ও অবকাঠামো তৈরির প্রধান উপকরণ সিমেন্টের। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্যাগপ্রতি ৫০ টাকা।

সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তারা জানান, কাঁচামালের দাম এবং জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। সিমেন্ট তৈরির সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।  প্রধান কাঁচামাল হলো ক্লিংকার। সিমেন্ট তৈরিতে ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় ক্লিংকার। আগে টন ছিল ৬০ ডলার। তা এখন ৭৫ ডলার থেকে ৭৯ ডলার পর্যন্ত। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্লিংকারের সংকট রয়েছে।

অন্যান্য কাঁচামালের দরও বেড়েছে ১০ ডলার থেকে ১২ ডলার পর্যন্ত।  অপরদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দর বেড়ে যাওয়ায় জাহাজের ফ্রেইট বেড়ে গেছে প্রচুর। এসব প্রেক্ষাপটে দর সমন্বয় করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যাগ ছিল ৪১২ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৩৮ টাকা। একই দর ফ্রেশ ও মীর সিমেন্টের। সেভেন রিং, শাহ স্পেশাল, ক্রাউন, সুপারক্রিট, আকিজ ও বসুন্ধরা সিমেন্টের মূল্য ৪৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  আগে ছিল ছিল ৪১৮ টাকা। টাইগার সিমেন্ট, ইস্টার্ন সিমেন্ট ও সেভেন হর্স সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৪০৫ টাকায়। হোলসিম ও স্ক্যান বিক্রি হয়েছে ৪৪৮ টাকায়। আকিজ ছিল ৪২৫ টাকা। আমান, বেঙ্গল, গাজী, অ্যাংকর ও এলিফ্যান্টের সিমেন্টের ব্যাগ ছিল ৪০৪ টাকা।বর্তমানে ৪২৬ টাকা। হোলসিম ও স্ক্যান সিমেন্টের ব্যাগ ৪৬৭ টাকা।

বাংলাদেশে চালু সিমেন্ট কারখানা রয়েছে ৩৭ টি। এর মধ্যে ৩০টিই দেশীয় কোম্পানি। সব কোম্পানি মিলে ২০১৯ সালে দেশে তিন কোটি ৩৬ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল তিন কোটি ১৩ লাখ টন। ২০১৬ সালে যা ছিল দুই কোটি ৩০ লাখ টন। এ বাজারে ২০১২ সালে বিদেশি কোম্পানিগুলোর বাজার হিস্যা ছিল প্রায় ২৮ শতাংশ, এখন তা কমে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

নব্বইয়ের দশকেও সিমেন্ট খাত ছিল শতভাগ আমদানিনির্ভর। এখন পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি সিমেন্ট রপ্তানিও হয়। ।  চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ উৎপাদন ক্ষমতা কারখানারগুলোর।

গত কয়েক বছরে সিমেন্ট বিক্রিতেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রবৃদ্ধি ছিলো ১৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮.৩২ শতাংশ, ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ১৫.৬৯ শতাংশ, ২০১৯ এ কিছুটা কমে প্রবৃদ্ধি হয় ৭.৩৭ শতাংশ। ২০২০ সালে অবশ্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। তা ছিল ৭.৬৫ শতাংশ।