Home আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে লেটুস পাতা চাষ করছেন সুনীতা

স্পেস স্টেশনে লেটুস পাতা চাষ করছেন সুনীতা

সুনীতা উইলিয়ামস

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

মহাকাশই এখন ঠিকানা সুনীতা উইলিয়ামসদের। প্রায় পাঁচ মাসের বেশি হয়ে গেল তিনি এবং তাঁর সঙ্গী ব্যারি বুচ উইলমোর আটকে রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। এতটা সময় ধরে তাঁরা সেখানে শুধু থাকছেনই না, গবেষণাও করছেন। সম্প্রতি আবার নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশনে লেটুস পাতা চাষ করছেন তাঁরা! কী কাজে লাগবে সেটি?

মাঝে খবর রটেছিল সুনীতারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাঁদের শরীর ভাঙছে। তবে ভিডিও বার্তায় অনুগামীদের আশ্বস্ত করেছিলেন খোদ সুনীতা। স্পষ্ট বলেছিলেন, মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকলে যেটুকু পরিবর্তন আসার, সেটুকুই হয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি তাঁরা কী খাচ্ছেন সে নিয়েও কৌতূহল বেড়েছে আমজনতার। কিছুদিন আগে জানা গেছিল, সুনীতাদের মেনুতে রয়েছে পিৎজা ছাড়াও রোস্ট চিকেন, স্ট্যু, শুকনো ফল, সবজি এবং কিছু ককটেল। তবে লেটুস তাঁদের খাবারের মেনুতে ঢুকবে না।

সুনীতা উইলিয়ামস

নাসার তরফে জানানো হয়েছে, লেটুস পাতা সুনীতারা খাওয়ার জন্য নয়, গবেষণার জন্যই চাষ করছেন। মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কীভাবে লেটুস গাছ বেড়ে ওঠে, সেই নিয়ে তাঁদের গবেষণা। জলের পরিমাণ কীভাবে একটি গাছের বেড়ে ওঠায় প্রভাব ফেলে, সেটাও তাঁদের গবেষণার বিষয়। মহাকাশের জন্য তো বটেই, পৃথিবীর কৃষিকাজের ক্ষেত্রেও এই গবেষণা বড় রকমের ফল দেবে বলে আশা করছে নাসা।

শুধু গাছের বেড়ে ওঠায় জলের ভূমিকা কী সেটা নয়, এই গবেষণায় সুনীতারা এটাও দেখছেন জলের রকমফেরে গাছের গুণ কতটা নষ্ট হয় বা আদৌ নষ্ট হয় কিনা। এছাড়া সুনীতাদের উদ্ধার করতে স্পেস স্টেশনে অন্য মহাকাশচারীরাও গেছেন। তাঁরাও প্রত্যেকে ডিএনএর-এর মতো ন্যানোনেটেরিয়ালগুলির গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন।

সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী নভোচারী নিক হেগ কিবো ল্যাবরেটরি মডিউলের লাইফ সায়েন্স গ্লোভবক্স, প্রসেসিং এবং ইমেজিং মেসেঞ্জার আরএনএ নমুনায় কাজ করেছেন। এই গবেষণার লক্ষ্য হল, পৃথিবীতে উৎপাদিত ন্যানোনেটেরিয়ালের তুলনায় মহাকাশে তৈরি হওয়া ন্যানোনেটেরিয়ালের গুণমান মূল্যায়ন করা।

দীর্ঘদিন স্পেস স্টেশন থেকে গবেষণার মধ্যে সাফাইকর্মীর ভূমিকাও নিতে হচ্ছে সুনীতাদের। কদিন আগে নিজের হাতেই তিনি পরিস্কার করেছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের শৌচালয়। তবে এই কাজে একা সুনীতা ছিলেন না। তার সঙ্গে সহযোগীতা করেছেন তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরও। নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরতে পারেন। যদিও নিশ্চিতভাবে এখনও কিছুই বলা হয়নি।