বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: সুপার সাইক্লোন প্রচণ্ড শক্তিতে ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে।
২০ মে ভোররাত ৩ টা: আবহাওয়া বিভাগের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আবহাওয়া বিভাগ ৩০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চট্টগ্রাম থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬১০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলেমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পান।
উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে সুপার সাইক্লোন সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশিচমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিং
বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে। আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোন জেলায় কতজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে তার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে জানছি।
মোংলা পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় ও অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ, ৫-১০ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।