Home আইন-আদালত সোনা পাচার মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

সোনা পাচার মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

যশোর:বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ’ গ্রাম সোনা ভারতে পাচার মামলায় তিন আসামির ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং চারজনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন এক ভারতীয় নাগরিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্টপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেরে মুজিবুর রহমান।

এছাড়া, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শার্শার গোকর্ণ গ্রামের মাঝেরপাড়া গ্রামের আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মন্ডল ওরফে মেছের আলীর ছেলে বর্তমানে যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের শফিকুল মন্ডল মোল্যা ওরফে লিদু।

১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শার্শার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল মোড়লের ছেলে সফি, আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন।

রায় প্রদানকালে দণ্ডিতদের মধ্যে ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এপিপি আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য হাবিলদার মুকুল হোসেন নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদে জানতে পারেন একদল চোরাকারবারি ভারতে সোনা পাচার করবে। এরপর তারা নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেন। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্যে দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি। তখন বিজিবি মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক এবং দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করে। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪ পিস ও ফেলে যাওয়া দু’টি ব্যাগ থেকে ৪০০ পিস সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪০০ গ্রাম। পরেরদিন শিকারপুর বিওপি বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকায় ওই নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।