বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলাপ যুবকের সঙ্গে। সেই সম্পর্কে জেনে ফেলায় পথের কাঁটা স্বামীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠল ভারতের হরিয়ানার এক সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার তরুণীর বিরুদ্ধে। হত্য়াকাণ্ডে তাঁকে সাহায্য করেন প্রেমিক।
প্রকাশ্যে এসেছে খুনের পর মোটরবাইকে চাপিয়ে ৬ কিলোমিটার দূরে নর্দমায় দেহ ফেলে আসার সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর নাম রবিনা। ভিওয়ানির প্রেমনগরের বাসিন্দা প্রবীণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। রবিনা-প্রবীণের ছয় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের জন্য শর্ট ভিডিও বানাতেন রবিনা। ইনস্টাগ্রামে ৩৪ হাজার ফলোয়ার রয়েছে তাঁর, ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৫ হাজার। ইনস্টাগ্রামে তারই মতো সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সুরেশের সঙ্গে আলাপ হয় রবিনার।
দুজনে মাঝমাঝেই শর্ট ভিডিওর জন্য শুট করতে বেরিয়ে পড়তেন। উভয়ের মধ্যে এভাবেই ঘনিষ্ঠতা হয়। প্রবীণের বাড়ির লোকদের অভিযোগ, নিজের সংসার, স্বামী-সন্তানের প্রতি কোনও টান ছিল না রবিনার। সর্বক্ষণ সোশাল মিডিয়া নিয়েই মেতে থাকতেন তিনি। নিয়মিত শুট করার জন্য বেরিয়ে পড়া নিয়ে প্রবীণের সঙ্গে ঝামেলাও হত। সুরেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী, সন্দেহ করতেন প্রবীণ।
২৫ মার্চ বাড়ি ফিরে স্ত্রী রবিনা এবং সুরেশকে বিছানায় অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন প্রবীণ। শুরু হয় তুমুল অশান্তি। অভিযোগ, তখনই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে প্রবীণকে খুন করেন রবিনা ও সুরেশ। সন্ধে নামলে মোটরবাইকে চেপে ছয় কিলোমিচার দূরের নর্দমায় প্রবীণের দেহ ফেলে আসেন দুজনে। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই গোটা ঘটনা সামনে চলে আসে। গ্রেপ্তার করা হয় সুরেশ ও রবিনাকে। খুনের কথা স্বীকার করেছেন দুজনেই।