বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ছাত্রীদের জন্য আবায়া নিষিদ্ধ করল সৌদি প্রশাসন। আপাতত বলা হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে আপাদমস্তক ঢাকা ঢোলা পোশাকটি পরতে পারবে না ছাত্রীরা। এবার থেকে স্কুল ইউনিফর্মই পরতে হবে সকলকে।
সউদি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং এভালুয়েশন কমিশন জানিয়েছে, আবায়া হল লম্বা, ঢোলা আপাদমস্তক বহিরঙ্গের পোশাক। আরব দেশগুলিতে মহিলা, পুরুষ উভয়েই এমন পোশাক পরে থাকেন। ইসলামি দুনিয়ায় এ এক বহু পরিচিত পোশাক।
পরীক্ষাকেন্দ্রে আবায়া নিষিদ্ধের নির্দেশের কথা শুনে অনেকে বলেছেন, আমেরিকা ও ইসরাইলের দেখানো পথে হাঁটছে সউদি। একসময় তারা মহিলাদের ওপর এমন কিছু নির্দেশ জোর করে চাপিয়েছিল যা ইসলাম অনুমোদিত ছিল না। যেমন ইসলাম কখনও মহিলাদের গাড়ি চালানোতে আপত্তি করেননি। এখন আবার তারা উদারতার নাম করে এমন বহু কিছু করছে যা ইসলাম অনুমোদন করে না। এখন মক্কার প্রবেশদ্বারে বিনোদনের বন্যা বইয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেদ্দাতে কনসার্ট হচ্ছে। মদিনাতে প্রমোদের সব আয়োজন পাকা করা হয়েছে ‘এমবিএস’ -এর আমলে। আধুনিকতার যে নকশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এঁকে দিয়েছে সেখানেই দাগ বুলোচ্ছেন সউদি যুবরাজ।
পশ্চিমারা চিরদিন চেয়েছে ইসলামী সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনে তাদের ঈমানী শক্তিকে কাবু করতে। সউদির আপন তৎপরতায় নেবার তারা এ কাজে অনেকটাই সফল হয়ে গেল বলে মনে করছেন অনেকেই।
কেউ কেউ বলছেন, এখন বলা হচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রে আবায়া পরে আসা যাবে না। পরে হয়ত বলা হবে স্কুলে আর আবায়া পরে আসা যাবে না। এইভাবে নবীর দেশ থেকে ইসলামী মূল্যবোধ তুলে দেওয়া হবে। তবে এমন চেষ্টা এর আগেও হয়েছে।
তুরস্কে মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কও সে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আধুনিকতার নাম করে তুরস্কে আসলে ইসলামী মূল্যবোধকে গোড়া থেকে কেটে দিতে চেয়েছিলেন। বন্ধ করে দিয়েছিলেন হিজাব। পশ্চিমারা তাঁর পিঠ চাপড়ে ছিল। কিন্তু কামাল আতাতুর্ক সফল হননি। পরে তুরস্কে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলেও নারীদের হিজাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। হিজাব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এরদোগান।
আজ আবার তুরস্কে ফিরেছে হিজাব। নারী সংসদ সদস্যরাও এখন হিজাব পরে পার্লামেন্টে আসছেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে তুর্কি-মার্কিন সংসদ সদস্য মার্ভে কাভাচি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হিজাব পরে এলে তাঁকে তাতে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে পার্লামেন্ট থেকে কেবল বেরই করে দেওয়া হয়নি, তুরস্কের নাগরিকত্বও বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।