বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধ
কমলগঞ্জ: ঈদুল আজহার ছুটিতে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার সুযোগে ঈদের দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় বিভিন্ন বয়সীর উপচে পড়া ভিড় ছিল। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টির কোনো তোয়াক্কাই করেননি পর্যটকরা।
গত বুধবার ঈদের দিন সকাল থেকে উপজেলার মাধবপুর লেক, ধলই চা-বাগানের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হামহাম জলপ্রপাত ও বিভিন্ন চা-বাগান এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ঈদের পরদিন গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পিকআপ ভাড়া করে, সাউন্ডবক্স ব্যবহার করে অল্পবয়সী পর্যটকদের আসতে দেখা যায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোয়। নারী ও শিশু থেকে সব বয়সী পর্যটকদের অধিকাংশকেই মাস্কবিহীন ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
এ সময় পর্যটকরা জানান, লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকার পর ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে এসেছেন তারা। সব সময় মাস্ক পরছেন দাবি করে অনেকে জানান, একটি দিন তারা প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে এসেছেন মাস্কা ছাড়া। একটি দিন তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও পর্যটকদের সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ, কমলগঞ্জ থানার পুলিশ, লাউয়াছড়া সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, বন বিভাগ, সিপিজির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা তৎপর ছিলেন।
পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, ঈদের ছুটি পেয়ে অস্বাভাবিকভাবে মানুষজন ঘর থেকে বের হয়ে ঘুরতে আসছেন। পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লাউয়াছড়ায় পর্যটকরা প্রবেশ করতে না পেরে বাইরের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছেন। তবে মাধবপুর লেক ও বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ এলাকা ও বিভিন্ন চা-বাগানের প্ল্যান্টেশন এলাকা উন্মুক্ত থাকায় পর্যটকদের আটকানো যাচ্ছে না। পর্যটকদের একটি অংশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরে এলেও অধিকাংশ মাস্কবিহীন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করেছেন। তাদের মধ্যে উঠতি বয়সীরাই বেশি।
মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, মাধবপুর লেকে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও তারা কোনো নিষেধাজ্ঞা মানেননি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, দল বেঁধে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঘুরে বেড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।