হোয়াটস অ্যাপ নিরাপদ নয়। তাই যেকোনো সময় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোনের অন্দরমহলে ঢুকে পড়তে পারে হ্যাকাররা। চুরি হতে পারে আপনার ফোনে রাখা গোপন তথ্য। এই ভয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছে ইউজারদের বড়-অংশ। তার বদলে ভাইবার কে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
ভাইবার জানাচ্ছে, এণ্ড টু এণ্ড এনক্রিপটেড তাদের অ্যাপ। যা নাকি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। তাই অধিকাংশ ভারতীয়র ভরসা হয়ে উঠছে ভাইবার। সংস্থার দাবি, পেগাসাস স্পাইওয়ারের মত ভয়ঙ্কর ঘটনার পর, ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের ইউজার। তাহলে কি ভরসা হারাতে বসছে হোয়াটসঅ্যাপ।
অনুপ নায়ার, APAC এর সিনিয়র ডিরেক্টর ইন্ডিয়ানেক্সপ্রেস ডটকমকে বলেন,” সক্রিয়ভাবে হঠাৎই কয়েকদিনের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ইউজার। যার অর্থ লোকেরা আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা শুরু করেছে। আমরা মন করছি, মূলত পেগাসাস’র জন্য মানুষ এদিকে ঝুঁকছে”। ওয়াকিবহালমহল মনে করছেন, ব্যবহারকারীরা গোপনীয়তার সঙ্গে আপোস করতে চান না। সেকারণে বিকল্প পথের সন্ধান করছেন।
জাপানিজ মাল্টিন্যাশনাল রুকতেন মিডিয়া ভাইবার লঞ্চ করে ২০১০ সালে। ৫০ মিলিয়ন ভারতীয় এখন ব্যবহার করেন ভাইবার। কেন ভাইবার বেছে নিয়েছেন ভারতীয়রা? সেই প্রশ্নে নায়ার বলেন, বাজার চলতি বাকি অ্যাপ ‘এনক্রিপটেড’ নয়। পাশাপাশি ফিচারগত দিক থেকেও অনেক উন্নত ভাইবার। তিনি আরও বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ অদ্ভুত, কারণ এটি ‘এনক্রিপ্ট’ করা প্ল্যাটফর্ম যা কোনওভাবে ফেসবুক এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মতো দুটি ‘আনএনক্রিপ্টেড’ প্ল্যাটফর্মকে যুক্ত করে।
নায়ার বলেন, “ভাইবার এ এখনও কোনো তদন্তের নির্দেশ আসেনি। সাধারণত প্ল্যাটফর্মে কিছু ধরণের ঘৃণাত্মক বক্তব্য বা বেআইনী ক্রিয়াকলাপ ঘটে থাকে তখনই এই ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমরা এটি দেখিনি কারণ আপনি ভাইবারে কুরুচিকর বিষয় সম্প্রচার করতে পারবেন না”।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক