কলকাতা: সবে ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা সাতটার ঘর ছুঁয়েছে। আচমকাই কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ইন্ডিয়ার কাউন্টারে রাখা ফোনটি বেজে ওঠে। ফোনের ওপারে যিনি আছেন তিনি বলেন, ‘ হ্যালো, বিমান অপহরণ করতে চাইছি।’ এদিকে স্বাধীনতা দিবসের পরেও কলকাতা বিমানবন্দরে এখনও বিশেষ সতর্কতা চলছে। অত্যন্ত সতর্ক নজরদারি করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তটস্থ সকলেই। তারমধ্যেই এমন ফোন। তবে ফোনের ওপার থেকে বাংলাতেই বলা হয় বিমান অপহরণ করার ইচ্ছা তার। কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি আচমকা বিমান অপহরণ করতে চাইছেন? সূত্রের খবর ফোনের ওপার থেকে বলা হয় ফাঁকা জায়গাতে বিমানটিকে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি।
এই কথা বলতে বলতেই ফোনের লাইনটা কেটে যায়। এদিকে এরপর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বিমান সংস্থা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে। মূলত কোথা থেকে ফোনটি করা হয়েছিল সেটি জানাটাই পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ পদ্ধতিতে ফোন নম্বরটিকে ট্র্যাক করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় বনগাঁ থেকে ফোনটি করা হয়েছিল।
যে ব্যক্তি ফোন করেছিলেন তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সম্ভবত সেকারণেই তিনি ফোন করে ফেলেছিলেন। তবে এর সঙ্গে তার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রশান্ত বিশ্বাস নাম দিয়ে ফোন করেছিলেন। ফোন পেয়েই নিরাপত্তাবাহিনী ওই বিমান সংস্থার একাধিক বিমানে তল্লাশি চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। আফগানিস্তানে তালিবান হানার মধ্যেই এই ফোনকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। -হিন্দুস্থান টাইমস