Home সারাদেশ ১০ দিন অনশন করে প্রেমিককে পেলেন  মুক্তা

১০ দিন অনশন করে প্রেমিককে পেলেন  মুক্তা

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী থেকে: দুমকিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার টানা ১০ দিনের অবস্থান ও অনশনের অবসান ঘটলো। সেই প্রেমিকের সাথেই প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের বাড়িতে তার ছেলে প্রেমিক অসিম সরকারের (২৬) সঙ্গে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাষ হালদারের মেয়ে মুক্তা রানীর (২২) বিয়ে সম্পন্ন হয়।
উভয় পরিবার ও স্বজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে তাদের বিয়ে হয়।
অনুষ্ঠানে দুমকি থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সিকদার, ইউপি সদস্য মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রেমিক অসিম সরকারের বাড়িতে এসে প্রেমিকা মুক্তা হালদার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। মুক্তা রানীর আসার পর থেকেই অসিম সরকার আত্মগোপনে যান এবং তার প্রভাবশালী পরিবার নানাভাবে মুক্তা ও  তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং টাকাপয়সার মাধ্যমে বিয়ে এড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছিলেন। কিন্তু মুক্তা রানী বিয়ের বিষয়ে অনড় থাকায় নানা ব্যর্থচেষ্টার পর অবশেষে বিয়ের মাধ্যমে সমস্যা নিরসন করতে বাধ্য হয়।
বর অসিম সরকারের বাবা অনিল সরকার বলেন, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে ছেলের কর্মস্থল ভোলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কনে মুক্তা রানী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমি আমার স্বামীকে নিয়ে আপনাদের আশীর্বাদে সংসার সাজাবো। আমি এখন খুশি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জান্নতুল ফেরদৌস বলেন, মেয়েটির বিয়ে হওয়াতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। ওরা সুখে থাকুক।