পটুয়াখালী থেকে রাকিবুল ইসলাম তনু: র্দীঘ ১৭ বছর পরে পটুয়াখালী যুবলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট্ এ কমিটিতে ২১টি পদ উল্লেখ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত পত্রে এ কমিটি ঘোষনা হয়।
নবগঠিত কমিটিতে সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট শহিদুল ইসলাম শহিদকে সভাপতি ও সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আগামী ৩ বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে এডভোকেট জাহাঙ্গীর সিকদার, সাবেক কমিটির আহবায়ক আরিফুজ্জামান রনি, মিজানুর রহমান হান্নান, জহিরুদ্দিন লিটু, খাইরুল উমাম মেরিন, এডভোকেট মনিরুল হক লিটন সিকদার স্থান পেয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছেন শাহানুর রহমান সুজন, জামাল হোসেন, খন্দকার অহিদুজ্জামান সাকিব।
নতুন কমিটি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আলমগীর জানান, নবগঠিত যুবলীগ মুল দলের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্য যেন বিভাজন সৃষ্টি না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে দলকে আরো শক্তিশালী করে জনগণের পাশে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে হবে।
সর্বশেষ ২০০৫ সালের ৭ জুলাই পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর সাবেক নারী সাংসদ লুৎফুননেছার বড় ছেলে মাহামুদুর রহমান পলাশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়। ২০১২ সালে যুবলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খান মারা গেলে ২০১৩ সালে একটি আহ্বায়ক কমিটি হয়। টানা সাড়ে ৮ বছরের আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরিফুজ্জামান রনি ও বর্তমান অনুমোদিত কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর পটুয়াখালী স্টেডিয়ামে স্মরণকালের সর্বাধিক লোক সমাগমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জেলা যুবলীগের সম্মেলন।