Home First Lead অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল আবার শুরু

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল আবার শুরু

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

টিকা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আর কোনও সমস্যা নেই ঘোষণা করল ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা।

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল আবার শুরু হয়ে গেল ব্রিটেনে। অ্যাস্ট্রজেনেকা জানিয়েছে,  মেডিসিন হেলথ রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদন পেয়েই ফের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রজেনেকাও। আমেরিকায় প্রায় ৩০ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চালাচ্ছিল এই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা। কিন্তু ট্রায়ালের মাঝেই এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ার সুরক্ষার জন্য টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় অ্যাস্ট্রজেনেকা।

শনিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট পাশ করে গেছে ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটিতে। মেডিসিন হেলথ রেগুলেটরি কমিটি ট্রায়ালের রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ফের শুরু করারই অনুমতি দিয়েছে।

ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছিল, টিকার ডোজে এক মহিলার শরীরে স্নায়বিক রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিনিট্রান্সভার্স মায়েলিটিস (Transverse myelitis) রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।  সংস্থার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বলেছেন, টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুদিন পরেই স্পাইনাল ইনফ্ল্যামেশন হতে শুরু করে মহিলার। তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় স্নায়ুর কোষে। পিঠে, পেশীতে ব্যথা হচ্ছিল মহিলার। তবে আর কোনও স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে এমন রোগ দেখা যায়নি।

অ্যাস্ট্রজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট বলেছেন, যে মহিলার রোগ ধরা পড়েছিল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হবে। অ্যাস্ট্রজেনেকার বক্তব্য, কী কারণে ওই মহিলার শরীরে এমন রোগ দেখা দিয়েছিল তার পরীক্ষা চলছে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে একজনেরই কেন এমন রোগ দেখা দিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি অ্যাস্ট্রজেনেকা।

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা বিজ্ঞানী। নাম এলিসা গ্রানাটো।  তারপর প্রথম পর্যায়ে কম সংখ্যক মানুষের শরীরে টিকার পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে হাজারের বেশি জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সুরক্ষার জন্যই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে এখন পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই ফের ট্রায়াল শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার ট্রায়াল বন্ধ হওয়ার রেশ পড়েছে ভারতেও। টিকার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, সেরাম ইনস্টিটিউটকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই)। সেই নির্দেশ মেনেই অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ট্রায়াল বন্ধ করে দেয় সেরাম। ব্রিটেনে অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল ফের শুরু হওয়ার পরে ভারত কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার।