২০২০ সালের ভর্তি নীতিমালায় তেমন পরিবর্তন না আনলেও, বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ও বাড়তি ফি আদায় করতে না পারে, সে জন্য কড়াকড়ি আরোপ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুমোদিত আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ঠেকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই প্রতিষ্ঠানকে মোট আসন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত টিউশন ফি’র লাগাম টানতে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তিনটি কমিটি করা হয়েছে। আরও উপ-কমিটি করা হবে। তারা বিষয়গুলো কঠোরভাবে নজরদারি করবে।
আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। সেখানে ভর্তির তারিখ ও পরীক্ষার পূর্ণমান থাকবে। তবে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির আয়োজন করা হবে। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে যথাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ভর্তি করতে হবে। অন্যসব ক্লাসে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় পাঠ্যপুস্তকের বাইরে থেকে প্রশ্ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যে শ্রেণিতে লেখাপড়া করেছে, সেই ক্লাসের বই থেকে পরবতী ক্লাসে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে। ভর্তিতে আগের মতো মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, এলাকা, শিক্ষা বিভাগের কোটা থাকবে। পাশাপাশি সরকারি হাইস্কুলের ১০ শতাংশ আসন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।