বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২১ পাস হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে চলমান শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে। সবগুলো শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে আসবে।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন আড়াই বছর ধরে ঘোরাঘুরি করছিল। গত তিন-চার মাসে একটু কেয়ার নিয়ে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবেন।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে কীভাবে তা করতে হবে, আইনে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্ধারিত শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তিন মাসে একবার সেবা গ্রহণকারী অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুদের অভিভাবকদের মতবিনিময় করতে হবে।
তিনি বলেন, এই আইন পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে। শিশুর জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন, কর্তব্যে অবহেলা, শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করলে দণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্ট্রং মেসেজ সবাইকে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো রকমের কেয়ারলেস বা ইলিগ্যাল কোনো কাজ করা যাবে না।
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।