বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, গাজীপুর: ভরদুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে হানা দিয়ে দুজনকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে একদল সশস্ত্র লোক। এ সময় নারী-পুরুষসহ ১৩ আসামিকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আইনজীবী ও জনতা এগিয়ে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করতে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী দুই জামিনপ্রাপ্ত আসামি হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)।
গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মামলার বাদী এসএম নাজমুল হক অপহরণ ও আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে।
মামলার অপর আসামি এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাদী নাজমুল হক জমিসংক্রান্ত মামলা করেছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পাওয়ার পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
তিনি বলেন, আমরা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বাদী ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন দা, চাকু, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জানালে তিনি আমাদের আনতে দুই কর্মচারী পাঠান। কিন্তু তাদের সামনেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জামিনের পরপরই আসামিরা বাদীপক্ষের অস্ত্রধারীদের দেখে ভয় পেয়ে বিষয়টি তাকে জানান। জামিনপ্রাপ্ত দুই আসামীকে নিয়ে আসতে দুজন কর্মচারিকে সেখানে পাঠানো হয়। বাদীপক্ষ তাদের ওপরও হামলা করেছে। আইনজীবী সমিতির এই দুই কর্মচারী গুরুতর আহত হন। কর্মচারী আইয়ুব আলীর মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে।
তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে দুজন পুলিশ সদস্য ছিলেন, তবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে এবং আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জিএমপি সদর মেট্রো থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আদালত চত্বরে হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।