বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম:স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চাকুরির বিধি অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক ন্যায্য অধিকার। কিন্তু চসিকের আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল বিধায় আনুতোষিক প্রদানে বিলম্ব হয়ে থাকে। এতে কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার অবকাশ থাকে। প্রশাসক কর্তৃক চসিকের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করে ব্যয় সংকোচনপূর্বক মানবিক দিক বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আনুতোষিক প্রদানের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
রোববার (০৪ অক্টোবর) সকালে টাইগারপাসস্থ নগরভবনে প্রশাসক কার্যালয়ে ২০১৪-১৫-১৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত মোট ৩০ জন চাকুরিজীবীকে আনুতোষিক বাবদ মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরের সময় জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই সব কথা বলেন।
তিন-তিনবারের সফল মেয়র প্রয়াত এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা স্মরণ করে তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কাজ করেছেন, চট্টগ্রামের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমৃত্যু নিরলস নিবেদিত ছিলেন।
প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী বলেন, এই মহৎ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি চট্টগ্রামে একগুচ্ছ মেগাপ্রকল্প উপহার দিয়েছেন। আমিও চট্টগ্রাম দরদী। এই নগরীর মানুষের জন্য ভাল কিছু করে যেতে চাই।
এ সময় আনুতোষিক প্রদান অনুষ্ঠানে জুমে যুক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে আনুতোষিক প্রদানের ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নিই। যারা আনুতোষিক প্রাপ্য তাঁরা ২০-২৫ বছর আমাদের সেবা দিয়ে গেছেন। চাকুরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পাওয়াটা তাদের ন্যায্য অধিকার। আমি চাইনা এই ন্যায্য অধিকার থেকে তাঁরা বঞ্চিত হোন। নিজের পাওনা আদায়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে জুতার তলা ক্ষয় করাটা কাম্য হতে পারে না। কিন্তু স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে চসিকের আর্থিক সক্ষমতার অভাবে আনুতোষিক অনাদায় থেকে যাচ্ছে।
সুজন বলেন, বহু হিসেব-নিকেষ করে এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম কমিয়ে আনুতোষিক যারা পাবেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩২ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছি। এই তালিকার ৪ জন মারা গেছেন-এটা খুবই দু:খজনক এবং বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ারই কথা। তিনি বলেন, আনুতোষিক পাওনারদের অনেকেই অসুস্থ ; কেউ কেউ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই নিজের মনুষ্যত্ববোধ থেকে মানবিক বিবেচনায় আনুতোষিক প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে এই উদ্যোগ চলমান থাকবে। যাদের পাওনা কম তারা এককালীন পাবেন এবং যাদের পাওনার অংক বড় তাদেরকে কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।
এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রোগ্রামার মোহাম্মদ ইকবাল হাসান,পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সিবিএ সভাপতি প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।