আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি থেকে: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটভাটায় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের লালপতাকাও উড়ছে, ভাটাও চলছে।
হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক গত মঙ্গলবার ৩৩টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। এরপর ভাটাগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে?
সরেজমিনে দেখা গেছে যে হাইকোর্টের আদেশ ও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মালিকরা। অবস্থাদৃষ্ঠে মনে হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশনার কারণে উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে নোটিস দিয়ে যেন দায়িত্ব শেষ করেছেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে কি না তা আর দেখার গরজ নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে দীঘিনালা ও পানছড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল উপজেলা প্রশাসনের ইটভাটা বন্ধ ঘোষণার ব্যানার ঝুলানো আছে ঠিকই, কিন্তু বয়লারের মাথায় উড়ছে জ্বলন্ত ভাটার ধোঁয়া। ভাটার কাঁচা ইট লোড আর পাকা ইট আনলোড চলছে। ভাটার সব কাজ চলছে অবাধে ।
দীঘিনালার এক ইটভাটার ম্যানেজার মো. মাসুদ বলেন, আমরা কাজ চালাচ্ছি তো কি হয়েছে? সরকার নির্দেশনা দিয়েছে ভাল। তবে বন্ধ করতে একটু সময় লাগবে। এরমধ্যে ভাটার মালিক সব কাগজপত্র ঠিক করে আনবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রিট পিটিশন ১২০৪/২০২২ মোতাবেক অবৈধ ও লাইসেন্স বিহীন পরিচালিত ইটভাটার সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইটভাটায় নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়াসহ ও লাল নিশানা (লাল পতাকা) উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । যদি এ আদেশ কেউ না মেনে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে মালিকের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।