Home ব্যাংক-বিমা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমাশিল্প

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমাশিল্প

মো. মনির হোসেন সোহাগ

যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতি মিশ্র অর্থনীতি। সঞ্চয় ও পুজিঁ গঠনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করে। সরকারি-বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়গুলোকে মূলধনে রূপান্তরকরে দেশের উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে। এ সকল কোম্পানী দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের জোগানদাতা হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মূলধন গঠন ছাড়াও দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ব্যক্তিক ও পারিবারিক আর্থিক নিরাপত্তা বিধান, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ও সর্বোপরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়ক সংস্থা হিসেবে বীমা খাতের কোনো বিকল্প নেই।

বীমা কোম্পানীগুলো একদিকে যেমন মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি গ্রহণ করে অন্যদিকে দেশের উন্নয়নে পুঁজি গঠন করে। যেকোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের মোট বিনিয়োগের উপর। বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বীমা শিল্পের বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দেশে ৭৯ টি বীমা কোম্পানী রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জীবন বীমা কর্পোরেশনই বিনিয়োগ করেছে ১৬৭১ কোটি টাকা। সেদিক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে দেশের বিদ্যমান বীমা শিল্প।

জীবন বীমা চুক্তির বিষয়বস্তু হতে পারে নিজের এবং অন্যের জীবন। তবে অন্য যার জীবনের ওপর আর্থিক স্বার্থ বিদ্যমান থাকে, শুধু তার জীবনের ওপর বীমা করা যায়।

বর্তমানে দেশে একটি বিদেশি কোম্পানিসহ মোট ৩৩টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আছে। দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ জীবন বীমার আওতায় আছে। দেশের বিশাল জনসংখ্যাকে বীমার আওতায় আনতে পারলে একদিকে যেমন দেশের পূজিঁ গঠন হতো অন্যদিকে মানুষের ঝূকিঁ হ্রাস হতো। শুধু তাই নয়, বীমা শিল্পে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হতো। বেকারত্ব হ্রাস পেতো উল্লেখযোগ্য হারে।

 

বীমা শিল্পের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ (IDRA) এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যহত থাকলে এবং মানুষ বীমা নিয়ে আরো সচেতন হলে এ শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। পাশাপাশি মানুষের ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।