গ্রেপ্তার আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে এবং মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি সদ্য বিলুপ্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
রাজশাহী: অস্ত্রসহ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে ভাইরাল হওয়া আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল নামের সেই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজশাহীর গ্রান্ড তোফা হল ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ সদস্যরা।
গ্রেপ্তার আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে এবং মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি সদ্য বিলুপ্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন।
ফেসবুকে বিদেশী অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওয়া পাবনার রাতুলকে রাজশাহী হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি পােষ্ট করে আলােচনায় আসা পাবনার আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুল (৩০) এর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের হয়। এর পর তিনি গা ঢাকা দেন।
একটি ছবিতে দেখা যায়, হাতে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছেন রাতুল। একটিতে দেখা যায় শুধু হাতের উপর পিস্তল এবং অপরটিতে গুলিসহ আছেন রাতুল। ছবিগুলাে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক আপলােড করা হয়েছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার ছবিগুলাে আলােচনায় আসে। যা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মত র্যাব তার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং রাতুলকে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এরই মধ্যে ৮ মে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর অভিযানে রাজশাহী মহানগরীর বােয়ালিয়া থানাধীন এন্ড তােফা হল বিল্ডিং হতে তাকে আটক করা হয়।
তার দেওয়া তথ্য মতে রাজশাহী মহানগরীর বােয়ালিয়া থানাধীন সাগরপাড়া মহল্লাস্থ পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত পুরাতন পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ী থেকে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি স্বীকার করেন যে, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য তিনি নিজের কাছে পিস্তল রাখতেন। তিনি পাবনায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।
ফেসবুকে ছবি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে সকলে তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের কথাটি জানে এবং তিনি নিজেকে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।