বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আইনজীবীকে আঁচড়ে কামড়ে দেওয়ায় ২টি জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুরের মৃত্যদণ্ড পাকিস্তানে! এমন হতভম্ব করে দেওয়ার মতো ঘটনা পাকিস্তানের করাচি শহরের।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, আদালতের বাইরে রফা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মির্জা আখতার আলি ও কুকুরদুটির মালিক হুমায়ুন খান। রফা হয়েছে, দুটি কুকুরকে মেরে ফেলা হবে।
কুকুরের হামলার ঘটনাটি গত মাসের। অ্যাডভোকেট প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন খানের কুকুরদুটি কোনও কারণ, প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে হামলা করে। তিনি জখম হন। সিসিটিভিতে ওঠা ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কুকুরগুলি আইনজীবীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে ধরাশায়ী করে দিচ্ছে।
অনেকেই কুকরের মালিকের নিন্দা করে আবাসিক এলাকায় পর্যাপ্ত ট্রেনিং ছাড়াই নিরাপত্তার কারণে বিশেষ জাতের কুকুর পোষার রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে বোঝাপড়া হয়। মির্জা আখতার কুকুরের মালিককে ক্ষমা করে দিতে রাজি হন। প্রথমতঃ আইনজীবী জখম হওয়ায় তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন। দ্বিতীয়তঃ নিজের বাড়িতে এরপর কোনও বিপজ্জনক, হিংস্র কুকুর পুষবেন না।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর খবর, দুটি কুকুরকে কোনও পশুচিকিত্সকে যন্ত্রণা না দিয়ে মেরে ফেলবেন। হুমায়ুন খানের কাছে এধরনের আর কোনও কুকুর থেকে থাকলে তিনি দিয়ে দেবেন। আরেকটি শর্ত হল, হুমায়ুন আর কোনও পোষ্য থাকলে ক্লিফটন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে তিনি নথিভুক্ত করবেন, সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হ্যান্ডলার ছাড়া আর কোনও পোষা কুকুরকে রাস্তায় বের করবেন না।
দুপক্ষের মধ্যে এমন বোঝাপড়ায় সাক্ষীদের সামনে সইসাবুদ হয়েছে। আদালতে তা জমাও দেওয়া হয়েছে। তবে পশু অধিকার রক্ষা কর্মীরা হুমায়ুন ও মির্জা আখতারের মধ্যে হওয়া বোঝাপড়ার তীব্র সমালোচনা করে হতাশাজনক বলেছে।