বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ভোট ছিল বৃহস্পতিবার। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তাদের প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পদ-পদবি পাননি। আর পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ফসল ঘরে তুলেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। শুক্রবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল আওয়ামীপন্থীদের জয় জয়কার।
সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল। পেয়েছেন ৭৭০ ভোট। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. জোবায়ের বখত জুবের। ৩৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
১ হাজার ৮৫০ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ২৬টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৬৫ জন ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম. আব্দুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
বিস্তারিত ফলাফল: সভাপতি পদে বিজয়ী সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পেয়েছেন ৭৭০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা এটিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) সর্বোচ্চ ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম (৩৫৫), আলী হায়দার (২৩৩), সৈয়দ ফেরদৌস (২১৩) ভোট পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি-২ পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থি জুলাই-আগস্টের ঞটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সোহেব আহমদ (৩৮২), আব্দুল হান্নান (৩৭৮) ও আফরোজ আহমদ (৬৪) ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন জুবায়ের বখত জুবের। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক (৫৮), বিএনপি পন্থি জোহরা জেসমিন (২৪), বামপন্থী দেলোয়ার হোসেন দিলু (২৮৫), আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না (৪৮), আওয়ামী লীগপন্থি মমিনুর রহমান টিটু (২৭৯), জামায়াতপন্থী আজিম উদ্দিন (১৮৪) ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত (২৪২) ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ (৪৭৮) ও বিএনপিপন্থি তাজ রিহান জামান (২৩৬) ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদকের ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থী আমিনুর রব চৌধুরী (১৫১), আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম(২৮৩), বিএনপিপন্থি সেবা বেগম (৩৫), বিএনপিপন্থি তানভীর আক্তার খান (২২২), জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান (২০২) ভোট পেয়েছেন।
এছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন ৯৮৫, এ.এস.এম. আব্দুল গফুর ৯২৩ ভোট, এ.কে.এম. ফখরুল ইসলাম ৯১৬ ভোট, মো. জামিলুল হক জামিল ৯১৪ ভোট, আব্দুল মালিক ৮৯১ ভোট, কল্যাণ চৌধুরী ৮১৬ ভোট, আশিক উদ্দিন (আশুক) ৭৭৯ ভোট, জুবের আহমদ খান ৭৩৯ ভোট, আবু মো. আসাদ ৬৬৩ ভোট, মো. আলীম উদ্দিন ৬৬০ ভোট এবং মো. ছয়ফুল হোসেন ৬২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।