Home চট্টগ্রাম আগামী বছর রেমিটেন্সে ধসের শঙ্কা

আগামী বছর রেমিটেন্সে ধসের শঙ্কা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: চলতি বছর রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড হলেও জনশক্তি রপ্তানিতে ধস নামায় আগামী বছরের রেমিটেন্সে তার প্রভাব পড়ার শংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছর বাংলাদেশের রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছর তা ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্বের ১৭৩টি দেশের সাথে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি রয়েছে। আর প্রবাসী রেমিটেন্স আয়ে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম।

করোনার ভয়াবহতায় বিশ্বজুড়ে শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসায় বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর জনশক্তি রফতানি নেমে এসেছে ৩০ শতাংশে।

বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়া ইউরোপের হাতেগোনা কয়েকটি দেশে।

জানা গেছে, এ বছর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৯ জন। অথচ তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো ৬ লাখ ৩৪ হাজার ১২৪ জন। এর বাইরে করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ১০ মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখের বেশি শ্রমিক দেশে ফিরে আসেন।

এদিকে, জনশক্তি রপ্তানিকারক জেলাগুলোর মধ্যে প্রতি বছরই প্রথম সারিতে থাকে চট্টগ্রাম। গত বছর চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন দেশে ৩৪ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিক গেলেও চলতি বছর শ্রমিক গেছে মাত্র ১০ হাজার ৮৬১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচের দেশ ওমান এবং সৌদি আরব গেছেন সিংহভাগ শ্রমিক। কাজের সন্ধানে ওমানে গেছেন ৪ হাজার ৭০ জন। আর সৌদিআরবে ৬ হাজার ২৪২ জন শ্রমিক যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি কার্যালয় উপ পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রবাসীরা সীমিত আকারে প্রবাসে যাচ্ছেন। ওই দেশের বিধি-নিষেধ বিভিন্ন কারণেই কোভিডকালীন আমাদের কর্মীরা কম যাচ্ছে।’