বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: আজ পহেলা বৈশাখ। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হবে ১৪২৮ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বাঙালি করোনা মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।
পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে ওঠার কথা দেশ। নগরজুড়ে থাকার কথা মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে এখন চলছে করোনাকাল। মানুষের পৃথিবীতে এখন চলছে অনিশ্চিত সময়। দেশে দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারা দেশে আজ ১৪ই এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম লকডাউন আরো দুইদিন বর্ধিত করে ১৪ই এপ্রিল ভোর পর্যন্ত চলমান করা হয়। যা জারি থাকবে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সংক্রমণ অনেক বেশি হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের ওপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
একাত্তরের পর গত বছর নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও থাকছে না ছায়ানটের নতুন বছরের বন্দনা।
এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানটিও হচ্ছে না। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসী সহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঘরেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমরা বাইরে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারছি না। কারণ, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে আঘাত হেনেছে সারা দেশে। করোনাভাইরাস আরো প্রাণঘাতী হয়ে আবির্ভূত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখের আনন্দ তাই গত বছরের মতো এবারও ঘরে বসেই উপভোগ করবো আমরা। টেলিভিশন চ্যানেল সহ নানা ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হবে। সেসব অনুষ্ঠান উপভোগ ছাড়াও আমরা নিজেরাও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, অতীতের সকল জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ করবো। দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবো সামনের দিকে। গড়বো আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-এই হোক এবারের নতুন বছরের শপথ