Home কৃষি আদালত ভবন এলাকায় বিক্রি হয় প্রচুর লেবু

আদালত ভবন এলাকায় বিক্রি হয় প্রচুর লেবু

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: আদালত ভবন এলাকায় প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রচুর লেবু। নগরীর অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি এখানেও তাই বিভিন্ন স্থান থেকে লেবু আসে।

চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলায় লেবুর বাম্পার ফলন হয়। সেখান থেকে নগরীর অন্যান্য স্থানে যেমন আসে, তেমনি আসে এখানেও। আদালত ভবন এলাকায় দামও ভাল পাওয়া যায়।

আদালত ভবনের গলির সামনে পটিয়া থেকে আসা লেবু ব্যবসায়ী মো. মুফিজুর রহমান বলেন, চন্দনাইশ উপজেলায় লেবুর বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। অন্যান্য জায়গার তুলনায় আদালত ভবন এলাকায় লেবুর চাহিদা বেশি। কারণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ আদালত ভবনে আসেন নানা প্রয়োজনে। তাই লেবু বিক্রি হয় বেশি।

লেবুর বিভিন্ন জাত থাকলেও প্রধানত চারটি জাতের ব্যাপক চাহিদা। জাতগুলো হলো  কাগজী, ফার্ম , কাটা জামির এবং এলাচি। কাগজি লেবুর ডজন ৪০ টাকা করে , ফার্ম লেবুর ডজন ৫০ টাকা, কাটা জামির জাতের লেবুর জোড়া ২০ টাকা করে এবং এলাচি জাতের লেবুর জোড়া ২০ টাকা ।

চন্দনাইশ থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী মো. মাইনুল বলেন, আমার কাছে শুধু কাটা জামির জাতের লেবু আছে। কাটা জামিরের চাহিদা বরাবর বেশি। কারণ কাটা জামির এমন একটি লেবুর জাত, যেটি ওষুধের কাজ করে। কাটা জামিরের জোড়া ২০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, এখন লেবুর সময়কাল শেষের দিকে তাই চাহিদা বেশি থাকলেও লেবু পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ সম্ভব হচ্ছেনা। বৈশাখ মাস থেকে পরবর্তী চার মাস লেবুর ফলন হয়। তাই লেবুর দামও নাগালের মধ্যে থাকে। এখন লেবুর উৎপাদন সময়কাল শেষের দিকে। তাই লেবুর দাম একটু বেশি। যেগুলোর জোড়া ১০ টাকা করে ছিল তা এখন ২০ টাকা।

আদালত ভবনে আসা মো. জামিলুর বলেন, আমি দুই জোড়া কাটা জামির লেবু ক্রয় করলাম। এই লেবুর স্বাদ টক এবং কিছুটা তিতা। এ লেবুর বড় গুণ হলো এটি ঔষধের মতো কাজ করে। কারো গলায় যদি কফ জমে থাকে তা সারাতে এ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে দ্রুত কাজ করে কাটা জামির লেবু। তাই আমি এ জাতের লেবু কিনলাম।